বিজেপি, তৃণমূল, সিপিআইএম সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই প্রতিযোগিতা হবে। তবে মানুষই শেষ কথা বলবে, বিশ্বাস প্রার্থী রাজু বিশ্বাসের। পাশেই প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা প্রামাণিক এবং তার স্বামী গোরাচাঁদ প্রামানিক তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির বাড়ি। তাই লড়াইটা যে খুব সহজ নয়, তা মেনে নিয়েছেন। তবে ভরসা একটাই সাধারণ মানুষ যখন তাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছে, জেতানোও তাদের দায়িত্ব।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মা-কে ভোটে জেতাতেই হবে! রং-তুলি হাতে দেওয়াল লিখছে দশমের ছাত্রী, চিনে নিন ওঁকে
তবে যদি জয়লাভ করেন, তাহলে কি তৃণমূলে যোগ দেবেন? এ প্রসঙ্গে রাজু বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে আগামীতে। গ্রামে তাঁকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেও পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদে এলাকাবাসী নিজে নিজে পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে প্রার্থী রাজু বিশ্বাস কোনও আবেদন জানাচ্ছেন না। শুধুমাত্র একটাই আবেদন গ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে জয়ী করতে হবে গ্রামের প্রার্থীকেই।
আরও পড়ুনঃ ‘লন্ডন ট্রিপের সময়ও আলাদাই ছিলাম, কিন্তু…’, জিতুর প্রতি ক্ষোভ উগরে নবনীতা যা বললেন…
হেভি ওয়েট নেতৃত্ব নেই, ফ্লেক্স ব্যানার প্রচারের আড়ম্বরতা নেই, এলাকা থেকে চাঁদা তুলে সামান্য কয়েকটি মাটির দেওয়ালে ভুষোকালি গুলে চলছে দেওয়াল লিখন। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, এমনই চিত্র। প্রতিবেশী, মা, কাকিমা, জেঠিমারাই দিনের কাজ সেরে বিকালে অন্যান্য মহিলাদের আবেদন জানাচ্ছেন রাজুকে জেতানোর জন্য।
অন্যদিকে কৃষক এলাকায় লাঙ্গল চিহ্ন হওয়ায় খুশি প্রবীণরাও। গ্রামের যুবক প্রার্থী হওয়ায়, এ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাও প্রচার চালাচ্ছেন গ্রামের ছেলে রাজুর হয়ে। আড়ম্বরহীন আন্তরিক এবং আবেগপূর্ণ প্রচার কতটুকু সফল হল, তা জানতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
Mainak Debnath