TRENDING:

Independence Day: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর পদধূলিতে ধন্য হাওড়ার এই গ্রাম

Last Updated:

Independence Day: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছে হাওড়ার বাগনানের দেউলগ্রাম। জানা গিয়েছে, হাওড়ার বাগনানের দেউলগ্রাম ধন্য হয়েছিল বিপ্লবী ক্ষুদিরামের পদধূলিতে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হাওড়া: ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ এই কথা শুনলে আপামর দেশবাসীর মনে  পড়ে যায় স্বাধীনতা সংগ্রামে একজন তরুণ বিপ্লবীর আত্ম বলিদানের কথা। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে এই তাঁর গাথা। এই কথা জড়িয়ে রয়েছে বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জীবনে। দেশ সেবায় অল্প বয়সে প্রাণ বলিদান দিয়েছিলেন সে সময়ের অল্পবয়সী যুবক।
advertisement

১৯০৮ সালে অত্যাচারী ব্রিটিশ কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে, আত্মগোপন করেছিলেন এক রাত্রিরের জন্য মামার বাড়িতে। হাওড়া বাগনানের দেউল গ্রাম এখান থেকে চলে যাওয়ার পরেই মোজাফ্ফরপুরে ধরা পড়েন ক্ষুদিরাম। তারপরই “হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী”।

আরও পড়ুন: হোটেলে থাকছেন? বিছানার নীচে জলের বোতল ফেলতে ভুলবেন না! ৯৯% শতাংশ লোকজনই জানেন না কারণ

advertisement

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছে হাওড়ার বাগনানের দেউলগ্রাম। জানা গিয়েছে, হাওড়ার বাগনানের দেউলগ্রাম ধন্য হয়েছিল বিপ্লবী ক্ষুদিরামের পদধূলিতে। কারণ দেউলগ্রামে ছিল ক্ষুদিরামের মামা বাড়ি। উল্লেখ্য ক্ষুদিরামের মা মারা যান তখন, যখন ক্ষুদিরামের বয়স ছিল মাত্র চার বছর। দিদির কাছেই মানুষ হয়েছিলেন তিনি।

পরে ক্ষুদিরামের বাবা বিয়ে করেন হাওড়ার দেউল গ্রামের সুশীলা ভঞ্জকে। জানা যায়, বিয়ের মাত্র সাত দিনের মাথায় মারা যান ক্ষুদিরামের বাবা। বাল্য বিধবা সুশীলা ফিরে আসেন হাওড়া জেলার পশ্চিম সীমান্ত ঘেঁষে দেউলগ্রামেই বাবার বাড়ি।

advertisement

আরও পড়ুন: টকটকে লাল নয়, ঘন নীল! বলুন তো কোন প্রাণীর রক্তের রং নীল? এক লিটারের দামই ১০ লাখ!

কথাগুলি জানিয়েছেন সুশীলা দেবীর সম্পর্কিত নাতবৌ অশীতিপর বৃদ্ধা গৌরী ভঞ্জ। উল্লেখ্য বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের হাবিবপুরে ক্ষুদিরামের জন্ম। ত্রৈলোক্যনাথ বসু ও মা লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী। বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু’র মা মারা যাওয়ার পর দিদির কাছে থাকতেই শুনেছিলেন বাবার দ্বিতীয় বিয়ের কথা ও দেউল গ্রামে তার আরেক মায়ের কথা।

advertisement

আরও পড়ুন: খিদে পেলেই বাচ্চাকে দুধের সঙ্গে খেতে দিচ্ছেন এই জিনিস! আকছার হচ্ছে এই ভুল, স্বাস্থ‍্যের দফারফা, সাবধান করলেন চিকিত্‍সক

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

১৯৭১ সালে সুশীলা মারা যান। কিংসফোর্ড মামলায় অভিযুক্ত ক্ষুদিরাম আত্মগোপন করতে সৎমা সুশীলার কাছে এসেছিলেন। যদিও সুশীলা দেবী ও এলাকার কয়েকজন রাজি হননি সেদিন। সে দিন বাধ্য হয়ে মাটি গুদামে রাত কাটিয়ে কাক ভোরে ফিরে যান ক্ষুদিরাম। পরে ইংরেজদের হাতে ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়।সেই প্রথম ও শেষ বারের মত তাঁর মামা বাড়ি বাগনানে দেউলগ্রামে এসেছিলেন ক্ষুদিরাম। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাক্ষী রয়েছে হাওড়ার এই স্থান।রাকেশ মাইতি

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Independence Day: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর পদধূলিতে ধন্য হাওড়ার এই গ্রাম
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল