তল্লাশি শেষে জাকির হোসেন অবশ্য় দাবি করেছেন, বড় কোনও অনিয়ম বা অসঙ্গতি পাননি আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বিধায়কের দাবি, মুর্শিদাবাদ জেলায় তিনিই সবথেকে বেশি আয়কর দেন।
আরও পড়ুন: ঘুড়ির পিছনে ছুটতে ছুটতে রেল লাইনে কিশোর, ঘটল মর্মান্তিক পরিণতি
অন্য়দিকে মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি এ দিন কলকাতাতেও তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের অফিসে হানা দেয় আয়কর দফতর। কলকাতা পুরসভার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববির হোটেলে হানা দেন আয়কর দফতরের কর্তারা। এজেসি বোস রোডের উপর ওই হোটেলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। যদিও কোনও ক্ষেত্রেই তল্লাশি নিয়ে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা কিছু বলেননি।
advertisement
এ দিন সকালে জঙ্গিপুরে জাকির হোসেনের বাড়িতে পৌঁছয় আয়কর দফতরের একটি দল। এর পাশাপাশি রঘুনাথগঞ্জে বিধায়কের চাল কল এবং সুতিতে তাঁর তেলের মিলেও অভিযান চালায় আয়কর দফতর। পাশাপাশি সামসেরগঞ্জে বিধায়কের বেশ কয়েকটি বিড়ি কারখানাতেও তল্লাশি শুরু হয়। সবমিলিয়ে দশ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ জেলার আরও কয়েকজন ব্য়বসায়ীর বাড়িতেও এ দিন আয়কর দফতর অভিযান চালায়। সন্ধে সাতটা নাগাদ বেশ কিছু নথি নিয়ে বিধায়কের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আয়কর দফতরের কর্তারা।
শ্রম দফতরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন অবশ্য় দাবি করেছেন, তল্লাশিতে উল্লেখযোগ্য় কিছু পাননি আয়কর দফতরের কর্তারা। তিনি বলেন, 'আমরাও সবরকম সহযোগিতা করেছি। ওনারাও সহযোগিতা করেছেন। আমাদের হিসেব সব ঠিক আছে। মুর্শিদাবাদে সবথেকে বেশি কর দিই আমি। সবকিছুই ঠিক আছে। উনিশ-বিষ হতে পারে। ব্য়বসা করতে গেলে সেসব হয়ই। কিন্তু আমি নিশ্চিন্ত যে কিছু হবে না। কারণ আমরা ঠিক মতো সব কর মেটাই।' জাকির হোসেন আরও দাবি করেছেন, তিনি যে তল্লাশিতে সহযোগিতা করেছেন, তা লিখিত ভাবে জানিয়ে গিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।