মাত্র দশম শ্রেণির এক ছাত্রী, যে তার মেসোর প্রতি গভীর টান অনুভব করছিল। মাসির মৃত্যুর পর মেসোর সঙ্গে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠতা, সেই টান পরিণত হয় প্রেমে। পরিবারের অমতে সেই সম্পর্ক যখন সামনে আসে, শুরু হয় ঝড়। ভেঙে দেওয়া হয় মেসো উপহার দেওয়া মোবাইল, বাধা আসে বাড়ির চারদিক থেকে। আর ঠিক সেই চাপেই থেমে গেল এক তরতাজা কিশোরী জীবন।
advertisement
জলে থাকে না এই ‘মাছ’! জল স্পর্শ না করেই পার হয়ে যায় মরুভূমি…একের পর এক দেশ! জানেন কোন মাছ?
আপনার কি ক্যানসার হবে? ৩ বছর আগেই বুঝে যেতে পারেন! নতুন এই আবিষ্কার শনাক্ত করে দেবে মারণরোগ
সূত্রের খবর, নিজের মেসোর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এক দশম শ্রেণির ছাত্রী, আর সেই সম্পর্ক ঘিরে পরিবারের মধ্যে তৈরি হয় প্রবল অশান্তি। শেষমেশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল ওই ছাত্রীর নিথর দেহ। মৃত কিশোরীর নাম সুলতা সাঁধুখা।
মেসোকে বিয়ে করতে চায় দশম শ্রেণির ছাত্রী, পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মঘাতী! (Photo: representative Image by AI)
পরিবারের দাবি, কয়েক মাস আগে সুলতার মাসির মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই মাসির স্বামী অর্থাৎ মেসোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ওই ছাত্রীর। ফোনে নিয়মিত কথা বলা, দেখা-সাক্ষাৎ চলত। ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক প্রেমে পরিণত হয় এবং একসময় সুলতা তাঁর পরিবারের সামনে জানিয়ে দেয়, সে মেসোকেই বিয়ে করতে চায়।
এই ঘোষণার পর থেকেই পরিবারে শুরু হয় অশান্তি। সুলতার বাবার অভিযোগ, মেসো দেওয়া মোবাইল ভেঙে দেন তাঁরা। এই নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য তুঙ্গে ওঠে।
গতকাল সুলতার বাবা-মা ও ভাই গিয়েছিলেন মামারবাড়ি। আজ সকালে বাড়ি ফিরে তাঁরা দেখতে পান, মেয়েটি ঝুলছে ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে। খবর দেওয়া হয় আমতা থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাইরের দরজা এবং আলমারি খোলা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে আমতা থানার পুলিশ। কীভাবে এই সম্পর্ক গড়ে উঠল, আদৌ কাউকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সন্তু মালিক