আপনার কি ক্যানসার হবে? ৩ বছর আগেই বুঝে যেতে পারেন! নতুন এই আবিষ্কার শনাক্ত করে দেবে মারণরোগ

ক্যানসার— এক শব্দ, যার মধ্যে লুকিয়ে আছে অসংখ্য ভয়, উদ্বেগ আর মৃত্যু চিন্তার ছায়া। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতির পরেও এখনও বহু মানুষ এই রোগের নাম শুনলেই কেঁপে ওঠেন। কারণ, অনেক সময় রোগ ধরা পড়ে তখন, যখন ফেরার আর পথ থাকে না। কিন্তু যদি এমন কিছু হতো, যাতে ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধার বহু আগেই তার আগমন বার্তা পাওয়া যেত? হ্যাঁ, এবার সেই কল্পনাই বাস্তবের পথে।

কেমব্রিজের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এক যুগান্তকারী আবিষ্কারে দেখিয়েছেন, ক্যানসার হওয়ার তিন বছর আগেই শরীর তার পূর্বাভাস দিতে শুরু করে। সেই সংকেত ধরতে পারলেই আগেভাগে প্রতিরোধ ও চিকিৎসা— দুটোই সম্ভব। কী সেই উপায়?

নতুন এক রক্তপরীক্ষা এই লক্ষণ চিহ্নিত করতে পারবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। এই গবেষণা শুধু চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নয়, মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার পথেও এক দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

ক্যানসার শুরু হওয়ার অন্তত ৩ বছর আগেই তা শনাক্ত করা সম্ভব — এমনই যুগান্তকারী ফর্মুলা আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ, শরীরে মারণরোগের কোনও লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগেই তার বার্তা পাওয়া যাবে। ফলে আগেভাগে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এবং বহু প্রাণ রক্ষা সম্ভব হবে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা- এমন কিছু বায়োমার্কার (জৈব রাসায়নিক চিহ্ন) শনাক্ত করেছেন, যেগুলি শরীরে ক্যানসার হওয়ার কয়েক বছর আগেই উপস্থিত হতে শুরু করে। এই লক্ষণগুলি শরীরের কোষে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় — কী ভাবে সুস্থ কোষ ধীরে ধীরে ক্যানসার কোষে রূপান্তরিত হচ্ছে, তার বার্তা মেলে এই চিহ্নে।

গবেষকরা রক্তের নমুনা এবং জিনগত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, কিছু বিশেষ প্রোটিন ও জিনগত পরিবর্তন শরীরে ক্যানসার হওয়ার তিন বছর আগে থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। এখন সেই বায়োমার্কার চিহ্নিত করতে বিশেষ একটি রক্তপরীক্ষা (Blood Test) তৈরির কাজ চলছে। ভবিষ্যতে এই পরীক্ষাটি সাধারণ স্বাস্থ্যপরীক্ষার (Routine Health Checkup) অংশ হয়ে উঠতে পারে।

কোন কোন ধরনের ক্যানসারে এই গবেষণা প্রযোজ্য? * ফুসফুসের ক্যানসার * লিভারের ক্যানসার * অন্ত্রের ক্যানসার * স্তন ক্যানসার

এই আবিষ্কারে কী কী উপকার হতে পারে? ✅প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়লে চিকিৎসা সহজ ও কার্যকর হয় ✅ চিকিৎসার খরচ অনেকটাই কমে ✅ মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব ✅ জীবনধারা বদলের সুযোগ পাওয়া যায় সময় থাকতে।

আজকের দিনে ক্যানসার মানেই মৃত্যুদণ্ড নয়, যদি তা সময়মতো ধরা পড়ে। এই গবেষণা সেই "সময়মতো ধরা পড়া"-কে আরও কয়েক বছর এগিয়ে আনছে। যদি এই পরীক্ষা সাধারণ মানুষের নাগালে আসে, তাহলে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব — শুধু নির্ণয় করেই নয়, প্রতিরোধের সুযোগ দিয়েও।

ক্যানসার শুরু হওয়ার অন্তত ৩ বছর আগেই তা শনাক্ত করা সম্ভব — এমনই যুগান্তকারী ফর্মুলা আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ, শরীরে মারণরোগের কোনও লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগেই তার বার্তা পাওয়া যাবে।

ফলে আগেভাগে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এবং বহু প্রাণ রক্ষা সম্ভব হবে। কী বলছে গবেষণা? গবেষকরা এমন কিছু বায়োমার্কার (জৈব রাসায়নিক চিহ্ন) শনাক্ত করেছেন, যেগুলি শরীরে ক্যানসার হওয়ার কয়েক বছর আগেই উপস্থিত হতে শুরু করে। এই লক্ষণগুলি শরীরের কোষে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় — কী ভাবে সুস্থ কোষ ধীরে ধীরে ক্যানসার কোষে রূপান্তরিত হচ্ছে, তার বার্তা মেলে এই চিহ্নে।

কীভাবে কাজ করে এই ফর্মুলা? গবেষকরা রক্তের নমুনা এবং জিনগত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, কিছু বিশেষ প্রোটিন ও জিনগত পরিবর্তন শরীরে ক্যানসার হওয়ার তিন বছর আগে থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। এখন সেই বায়োমার্কার চিহ্নিত করতে বিশেষ একটি রক্তপরীক্ষা (Blood Test) তৈরির কাজ চলছে। ভবিষ্যতে এই পরীক্ষাটি সাধারণ স্বাস্থ্যপরীক্ষার (Routine Health Checkup) অংশ হয়ে উঠতে পারে।