জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ে হয় মান্তু দাসের। বিয়ের প্রথম প্রথম সব ঠিক থাকলেও, কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। শ্বশুরবাড়িতে ঠিকমতো খেতে দেওয়া হতো না মান্তুকে। মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হতো প্রতিনিয়ত (East Bardhaman News)। শুধু স্বামী নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকজন মান্তুর উপর অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। আর এসবের মধ্যেই কেটে যায় দু'বছর। তবে সন্তান হয়নি মান্তুর। যদিও এ নিয়ে একাধিক চিকিৎসকের কাছে মান্তুকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্বশুরবাড়ির তরফে। তবে চিকিৎসকের কাছে স্বামীকে নিয়ে যাওয়া হয়নি বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের।
advertisement
শ্রীরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এসে মৃতার দিদি সর্বাণী রায় জানান, বিয়ের পর থেকেই নানান খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তাঁর বোনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাঁদের অনুমান, মান্তুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মেরে ফেলা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন ,''এতই যখন সমস্যা হচ্ছিল বোনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে পারতো, কিন্তু এভাবে মেরে ফেলল কেন?'' (East Bardhaman News)। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাঝেমধ্যেই বাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার শোনা যেত। সাংসারিক কলহ ভেবে তাঁরা মাথা ঘামাননি। কিন্তু হঠাৎ এদিন ঘর থেকে মান্তুর দেহ বের হতে দেখে সকলেই চমকে ওঠেন। যদিও স্থানীয়রা শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেনি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে মান্তুর শ্বশুরবাড়ির ২ জনকে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নাদনঘাট থানার পুলিশ।
Malobika Biswas