পুজো আসে। উমা ঘরে এলে ঘরে ফেরে কাছের মানুষও। এক মায়ের আগমনে সব মায়ের সন্তান কোলে ফেরে। ঢাকিদের ঘরে বাজে দুঃখের বোল। পরিবার ছেড়ে ঢাকে কাঠি ধরতে যেতে হয় যে। রামপুরহাটের কুসুম্বা গ্রামের বায়েন পাড়ায় মন খারাপ ঘন হয়। গ্রামবাংলার লোকশিল্পীদের একটা সময় জুটেছে অবহেলা। পুজোর ক’দিনই যা কাজ। তারপর সারা বছর তেমন রোজগার নেই। পুজো কমিটিগুলিও থিমের আড়ম্বরে প্রচুর খরচ করলেও ঢাকিদের তেমন পারিশ্রমিক দেয় না। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর অবশ্য খুশির বোলে হেসেছেন ঢাকিরা।
advertisement
ঢাকে খুশির বোল
------------------
- লোকপ্রসার প্রকল্পে ঢাকিদের পরিচয়পত্র
- উদ্যোগী তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর
- ৮০টি ঢাকি পরিবারকে বহাল ভাতা
- প্রবীণ শিল্পীদের মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা
- সরকারি প্রকল্পের প্রচারে লোকশিল্পীদের যুক্ত করা
- লোকশিল্পীদের ন্যূনতম উপার্জনের ব্যবস্থা
নতুন প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্যের লোকশিল্প তুলে ধরতে গবেষকদের সহায়তায় নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। লোকশিল্পীরাও প্রবল উৎসাহে এই কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন। পুজোর মরশুম ছাড়াও কাঁখে ঢাক নিচ্ছেন শিল্পীরা। জীবনে বাজছে খুশির ঢাক।