#মান্দারমণি: রাত পোহালেই ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। সঙ্গে সামনেই নতুন ইংরেজি বছরের প্রথম দিন পয়লা জানুয়ারি। বছরের শেষ ক’টা দিন নিজেদের বেড়ানোর জন্য সমুদ্রতীর, সৈকতকে বেছে নিচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার দিঘা ছেড়ে শান্ত মান্দারমণির সি বিচকে বেছে নিচ্ছেন। দিঘার তুলনায় মান্দারমণিতে হোটেলের সংখ্যা অনেক কম। বাজার নেই। নেই দিঘার মতো হইচইও। তাই নিরিবিলিতে সমুদ্র এবং নীল জলরাশি দেখার জন্য ছুটির দিনগুলোতে মান্দারমণিতেই থাকতে চাইছেন পর্যটকরা।
advertisement
তাঁরা বেছে নিচ্ছেন মান্দারমণির ভালো ভালো হোটেল। ইতিমধ্যেই বহু পর্যটকই মান্দারমণির হোটেলে বুকিং সেরে রেখেছেন। চাহিদার তুলনায় এখানে হোটেলের সংখ্যা কম হওয়ায় দিঘার তুলনায় মান্দারমনিতে হোটেলের ভাড়া কিন্তু অনেকটা বেশিই। তবু দমছেন না উৎসাহী পর্যটকেরা। দামের কথা মাথায় না রেখেই বহু পর্যটকই হোটেলের রুম বুক করে ফেলেছেন বলে খবর।
তবে চড়া রেটের পাশাপাশি কম ভাড়া যুক্ত অনেকগুলো হোটেলও মান্দারমনিতে রয়েছে। রয়েছে সি বিচের কাছে দূরে অনেক গুলি আবাসনও। শেষ মুহূর্তে যার বুকিং দ্রুত চলছে বলে খবর। এদিকে, উৎসবের ভরা মরশুমে পর্যটকদের বাড়তি ভিড়ের কারণে সমুদ্রে দুর্ঘটনা বাড়ার আশঙ্কায় দিঘার পাশাপাশি মান্দারণির সি-বিচের ধার বরাবর নুলিয়া এবং পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে চলেছে প্রশাসন।
২৫ ডিসেম্বর বড়দিন থেকে পয়লা জানুয়ারি, নতুন বছরের শুরু উপলক্ষে আনন্দ উৎসব। আগামী এক সপ্তাহেরও বেশি দিন ধরে সমুদ্র এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে বলে প্রশাসন সুত্রের খবর। উল্লেখ্য, দিঘার মতো ২৫ ডিসেম্বরের এক-দু’দিন আগে থেকেই মান্দারমণিতেও পর্যটকদের আসা ধীরে ধীরে শুরু হয়ে গিয়েছে। যা দেখে একথা বলাই যায় যে, মান্দারমণিতে সমুদ্রে নেমে স্নানে মত্ত হয়ে ওঠা এখন শুধু সময়েরই অপেক্ষা!