ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রামের আনখোনা পঞ্চায়েতের চাকটা গ্রামে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর একটা নাগাদ চাকটা গ্রামের বাসিন্দা অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায় (৬০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজের বাড়িতেই মারা যান। ওই গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি ছিলেন অনুপ। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরই গোটা এলাকায় ছড়িয়ে যায়, করোনায় মৃত্যু হয়েছে ওই বিজেপি নেতার। আর সেই 'খবর' চাউড় হতেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বিজেপি নেতার মৃতদেহে হাত ছোঁয়াতেও রাজি হচ্ছিলেন না কেউ। এমনকী বিজেপির অন্যান্য নেতা-কর্মীরাও এগিয়ে আসেননি।
advertisement
একে আতঙ্ক, অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে শুক্রবার আর সৎকার হয়নি ওই বিজেপি নেতার। গোটা রাত বাড়িতেও ছিল দেহ। শনিবার সকালে গোটা ঘটনা জানতে পারেন আনখোনা পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী বুদুন শেখ। এরপর তাঁরই নির্দেশে এগিয়ে আসেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি নেতার মৃতদেহ কাঁধে করে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহ করেন করেই।
মৃত বিজেপি নেতার স্ত্রী বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামী অসুস্থ ছিলেন। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আমার স্বামীর করোনা হয়নি। তবুও কেউ আমার স্বামীর মৃতদেহ সৎকার এগিয়ে আসেনি। বিজেপির লোকজনকে জানানো হলেও তাঁরা আসেননি। শেষে তৃণমূলের ছেলেরাই সব কাজ সম্পন্ন করল।' বিজেপির অবশ্য দাবি, এলাকায় দলের কর্মীরা ঘরছাড়া, তাই কেউ আসতে পারেননি। যদিও কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজের দাবি, 'আমরা আমাদের দলের কর্মীদের এই শিক্ষাই দিয়ে থাকি। তৃণমূল কর্মীরা যে কতটা মানবিক, এর থেকেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়।'