বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের দেশবাঁধ এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে আশির দশকে কয়েকশো বিঘা জমির উপর একটি বেসরকারি সার কারখানা তৈরি হয়েছিল। কারখানা তৈরি হলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে সেই আশায় অত্যন্ত কম দামে বেসরকারি সংস্থাটিকে জমি বিক্রি করেন ওন্দা ব্লকের খামারবেড়িয়া, পুঞ্চা, দামোদরবাটি সহ আশপাশের আট থেকে দশটি গ্রামের কৃষকেরা। আশির দশকের শেষ দিকে ওই জমিতে কারখানা স্থাপন করে শুরু হয় সার উৎপাদন। কাজ পান এলাকার কয়েকশো মানুষ।
advertisement
কিন্তু এক দশক যেতে না যেতেই বিভিন্ন কারনে সেই কারখানায় তালা পড়ে। ধীরে ধীরে কারখানার যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যায়। চুরি হয়ে যায় কারখানার বহু সামগ্রী। ধীরে ধীরে কারখানার সীমানা পাঁচিলটিও ভেঙে পড়ে। কারখানার জন্য বরাদ্দ সেই জমি ঢাকা পড়ে যায় ঝোপঝাড়ে। সম্প্রতি সেই জমিতে ঝোপঝাড় সাফাই এর কাজ শুরু করেন স্থানীয় কিছু মানুষ। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর অভিযোগ শাসক দলের মদতে কারখানার জন্য বরাদ্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকা ওই জমিতে শুরু হয়েছে প্রোমোটিং। প্লট করে চলছে জমি বিক্রির চক্রান্ত।
ওই জমিতে অবিলম্বে প্রোমোটিং বন্ধ করে পুনরায় কারখানা স্থাপন অথবা কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন সাংসদ। স্থানীয়দের দাবি কর্মসংস্থান হবে সেই আশাতেই কম দামে তাঁরা কারখানা কর্তৃপক্ষকে জমি দিয়েছিলেন। এখন বেশি মুনাফার লোভে ভূমি সংস্কার দফতরের নিয়ম নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রোমোটিং ব্যবসা করলে কোনোভাবেই তা মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে বড়সড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। জমিটি সাফ সুতরো করার কাজে যুক্তরা অবশ্য ওই জমিতে প্রোমোটিং এর অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁদের দাবি আদালতের নির্দেশে নিলামে যে ব্যক্তি ওই জমি কিনেছেন তিনি জমি সাফ করাচ্ছেন। কী উদ্যেশ্যে ওই জমির ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হচ্ছে তা খোলসা না করলেও ওই জমিতে কোনো প্রোমোটিং হচ্ছে না বলেই তাঁদের দাবি।
এদিকে শিল্পের জমিতে প্রোমোটিং নয়, শিল্পের বদলে শিল্পের দাবিতে সামনেই বন্ধ কারখানার গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃনমূল। তৃনমূল নেতৃত্বের দাবি তৃণমূলের ঘোষিত কর্মসূচির কথা জানতে পেরেই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তড়িঘড়ি তৃণমূল যোগের মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।