#রায়দিঘি: বুলবুলের ফলে উপড়ে পড়েছে সুন্দরবনের প্রচুর গাছ। সেই গাছ ইতিমধ্যে কাটাও শুরু করেছে বনদপ্তর। কিন্তু এই সুযোগে এক শ্রেণীর কাঠ পাচারকারী সক্রিয় হয়ে উঠেছে সুন্দরবন জুড়ে। বেআইনীভাবে কাঠ কেটে নৌকায় ভর্তি করে চলছে পাচার। এরকম খবর পেয়েছিল সুন্দরবনের বনদপ্তরের আধিকারিকরা। শনিবার বিকেলে রায়দিঘি ফরেস্ট অফিসের অভিযানে সুন্দরবন থেকে অবৈধ ভাবে কাটা প্রচুর কাঠ উদ্ধার করা হল।
advertisement
এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রায়দিঘির ফরেস্ট অফিসের রেঞ্জার অনুরাগ চৌধুরী ও তাঁর দলবল সুন্দরবনের কলসদ্বীপের কাছে চাবিরখালে অভিযান চালায়। চোরাকারবারীদের আত্মসমর্পণ করতে মাইকিং করতে থাকে বনদপ্তরের কর্মীরা। তাড়া করে চোরাকারবারীদের। বনকর্মীদের তাড়া খেয়ে জঙ্গলের মধ্যে গা’ঢাকা দেয় চোরাকারবারীরা। নৌকা ফেলে একসময় পালিয়ে যায় তারা। নৌকাভর্তি কাঠ বাজেয়াপ্ত করে বনদপ্তর। চোরাকারবারীদের খোঁজে জঙ্গলে তল্লাশি চলছে। রেঞ্জার অনুরাগ চৌধুরী জানিয়েছেন, বুলবুলের ফলে এমনিতেই ক্ষতি হয়েছে জঙ্গলের। তার উপর এমন ঘটনায় উদ্বেগ আরও বাড়ছে। অবৈধ চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে এত পরিমাণে গাছ পড়ে গিয়েছে কিন্তু গাছ কেনার মত লোকের সংখ্যা কম। যদিও কেউ কিনতে চাইছে, তা সিকিভাগ মূল্যে। যার ফলে পড়ে থাকা গাছের ওপর নজরদারি স্বাভাবিক উপায়ে অনেকটা কমে গিয়েছে। রাক্ষস খালী পঞ্চায়েত উপ-প্রধানের কথা অনুযায়ী গাছ বিক্রি করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পঞ্চায়েত এবং সাধারণ মানুষ। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই মুহূর্তে খুবই নগণ্য দামে গাছ এবং কাঠগুলো কিনে নিতে চাইছেন।
বিধ্বস্ত জায়গাগুলিতে গাছ গুলো আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাচ্ছে। গাছের সবুজ চরিত্র বদলাচ্ছ। বকখালি ও সুন্দরবনের বিধ্বস্থ এলাকা গুলো যদি এর মধ্যে যদি সংশ্লিষ্ট মহলের গোচরে না আসে তাহলে ,খুব তাড়াতাড়ি সবুজ হারেবে ওই স্থানগুলি, দাবী স্থানীয় মানুষদের।