সরকারি অনুমোদন ছাড়াই টোল আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এখানে বাস, চারচাকা, টোটো চালকদের কাছ থেকে টোল আদায় চলছে।
জানা গিয়েছে, সৃজনী শ্রমিক শিল্প সমবায় সমিতির নামে চলছে টোল আদায়। দশ থেকে তিরিশ টাকা পর্যন্ত টোল নেওয়া হচ্ছে। টোটোর ক্ষেত্রে দেড়শ টাকার মান্থলিও রয়েছে। কিন্তু আদায় করা টাকা কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
advertisement
আরও পড়ুন- সংসারে অভাব, ১৯ দিন আগে কাজে যান কেরলে, মুর্শিদাবাদের যুবকের করুণ পরিণতি
প্রতিদিন এই বাস স্ট্যান্ডে কয়েকশো বাস যাতায়াত করে। তার ওপর রয়েছে টোটো ও চারচাকা গাড়ির টাকা। ফলে সব মিলিয়ে বিপুল টাকা প্রতিদিন টোল থেকে আদায় হচ্ছে। এতদিনে কত টাকা উঠল, তার হিসেব কোথায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
আদায়কারীদের বক্তব্য, বাসস্ট্যান্ড রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য টোল আদায় করা হচ্ছে। বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে পিপিপি মডেলে এই বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- কিলবিল করছে কেঁচো ! দেখে গা ঘিনঘিন করলেও এই মাটিতেই রয়েছে সোনা! কোথায়?
বাসস্ট্যান্ড রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও টাকা বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা দেয় না। কর্মীদের বেতনও তারা বহন করে না। সেজন্যই সৃজনী শ্রমিক শিল্প সমবায় সমিতির নামে টোল আদায় করা হচ্ছে। আদায় হওয়া ওই টাকাতেই বাসস্ট্যান্ড রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন রুটের বেসরকারি বাসের কাছ থেকে এই টোল আদায় করা হচ্ছিল। ইদানিং অস্থায়ী অফিস খুলে টোল আদায় শুরু হতেই বিষয়টি সবার নজরে আসে। তারা যে টোল আদায় করবে এমন কোনও শর্ত কোথাও রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিডিএ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এমন টোল আদায়ের কথা জানা নেই। কাউকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। ওই টোল আদায় বন্ধ করতে বলা হয়েছে। কী চুক্তি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। তার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।