জানা যাচ্ছে, ওই খাদানটি সৌরভ রায় নামে এক ব্যক্তির। সৌরভ বৈধ খাদানের আড়ালে অবৈধভাবে অতিরিক্ত বালি পাচার করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বর্ষায় নদী থেকে বালি তোলা মানা থাকলেও বহাল তবিয়তে বালি তুলে ওভারলোড করে পাচার হচ্ছে। প্রশাসন দেখেও কিছু বলে না, অভিযোগ স্থানীয়দের। ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত লালগড় থানার সিজুয়া এলাকার।
advertisement
গ্রামের রাস্তা দিয়ে অনবরত পার হয় অবৈধ ওভারলোড বালি বোঝাই গাড়ি। ফলে রাস্তার বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে জানিয়ে কোন সুরাহা না হওয়ায় গ্রামবাসীরা পথে নামেন। অবরোধ করেন রাস্তা। বুধবার দুপুর দু’টো থেকে অবরোধ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অবরোধ চলছে। গতকাল বিকেলে স্থানীয় লালগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পুলিশকে জানানো হয়েছিল কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাই যতদিন না পর্যন্ত রাস্তার সমাধান হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুনঃ অসাধ্য সাধন! ১০ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বিনামূল্যে! নজির গড়ল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, অনবরত ওভারলোড গাড়ি পার হয় এই রাস্তা দিয়ে। গাড়ির পারমিট রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ সিএফটি সেখানে মাল যাচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ সিএফটি। অর্থাৎ এক একটি গাড়িতে দ্বিগুণ লোডে বালি যাচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় খাদান মালিকের বিরুদ্ধে। অবরোধের পর থেকে থমথমে হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। অবরোধের জেরে আটকে পড়ে সমস্ত বালির গাড়ি। এরপরই গুন্ডাবাহিনী নামায় খাদান মালিক।
অভিযোগ খাদান মালিকের গুন্ডাবাহিনী এসে আক্রমণ চালায় গ্রামবাসীদের উপর। বেশ কয়েকটি মোবাইল ভাঙচুর এবং বেশ কয়েকজনকে আহত করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সম্ভব হয়নি স্থানীয়দের প্রচেষ্টায়। আরও অভিযোগ, ওই গুন্ডারা বন্দুক ও নানা হাতিয়ার নিয়ে এসেছিল গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালানোর জন্য। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ আছে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে ফের গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের মেরে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা।