চলতি সপ্তাহেই বাঁকুড়া সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা তথা দক্ষিণবঙ্গের বে-আইনি বালি চলাচল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন । বলেছিলেন বেআইনি বালি চলাচলের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই । এছাড়াও সরকারের রাজস্বও ফাঁকি দেওয়া হয় । তাই অবিলম্বে বেআইনি বালি চলাচলের ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে । সেসময় পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে জেলায় কোনও বেআইনি বালি খাদান নেই । পুলিশ ও প্রশাসনের সেই দাবির যৌক্তিকতা থাকলেও বেআইনি ভাবে বালি চলাচল যে একেবারে বন্ধ তা বলা যায় না । কারন বাঁকুড়ার অধিকাংশ নদীর বালি ঘাট থেকে যে বালি চলাচল করে তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লরিগুলির ওভারলোডের অভিযোগ ওঠে ।
advertisement
লরি চালকদের দাবি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বালি বোঝাই করে যাতায়াত করলে লাভ তেমন হয়না । তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওভারলোড নিতে হয় । অধিকাংশ লরি ওভারলোড নিয়ে যাতায়াত করায় একদিকে যেমন প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার সরকারি রাজস্বর ক্ষতি হচ্ছে তেমনই ঘাট সংলগ্ন এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা ক্রমশ বেহাল হয়ে পড়ছে । লরি চালকদের দাবি ওভারলোড বালি নিয়ে যেতে গিয়ে অনেক সময় স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা গুনতে হয় । তাতে অবশ্য কুছ পরোয়া নেহি বালি বহনকারী ট্রাক চালকদের ।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ ওভারলোড বালি চলাচল ঠেকাতে বিশেষ অভিযান শুরু করলেও অবৈধ ভাবে ওভার লোড বালি চলাচলের ক্ষেত্রে তা কতটা রাশ টানতে পারবে তা বলবে সময়ই ।