এগরা শহরের বুকে প্রায় ৫০ বছর আগে থেকে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের ডিলারশিপ নিয়ে পেট্রোল পাম্প চালিয়ে আসছে পাটেসারিয়া এজেন্সি। কিন্তু শহরের বুকে যে জায়গাটির উপর পেট্রোল পাম্পটি অবস্থিত সেটির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ ছিল। পরবর্তীকালে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালতের নির্দেশে জায়গাটির বর্তমান মালিক হল বিমল মাইতি ও মানসী রায়ের পরিবার। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে জায়গাটির মালিকানা নিয়ে নিষ্পত্তি হয়ে গেলেও বর্তমান মালিকদের সঙ্গে লিজ বা ভাড়া সংক্রান্ত কোনও এগ্রিমেন্ট না করার অভিযোগ উঠেছে পেট্রোল পাম্পের মালিকের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন পাম্পের ম্যানেজার সুরেন্দ্র সিং।
advertisement
জমির মালিকদের সঙ্গে লিজ বা ভাড়া চুক্তি না হওয়ায় বৈধ ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্সের মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি পেট্রোল পাম্পের হাতে নেই। ট্রেড লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্স ছাড়া পেট্রোল পাম্প চালানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সবচেয়ে বড় কথা ফায়ার লাইসেন্স ছাড়া পেট্রোল পাম্প চলা মানে তা জনজীবনে বিপদের ঝুঁকি তৈরি করে। বিষয়টি জানতে পেরে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছে এগরা পুর কর্তৃপক্ষ। দ্রুত আইন মোতাবেক সবকিছুর ব্যবস্থা না করলে ওই পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার সুরেন্দ্র সিং বলেন, জায়গার মালিকানা নিয়ে বিবাদের কারণে বর্তমানে এই পেট্রল পাম্পের কোনও বৈধ কাগজ নেই। ট্রেড লাইসেন্স ও ফায়ারের লাইসেন্স ছাড়াই আমরা ব্যবসা করছি। পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজারের এমন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি বিতর্কের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় গা ঢাকা দিয়েছিল বিষ্ণুপুরের যুবক! তুলে আনল বাংলার পুলিশ, কারণ জানলে স্যালুট জানাবেন
এই বিতর্ক প্রসঙ্গে রীতিমতো ক্ষুব্ধ এগরার পুরপ্রধান স্বপন কুমার নায়ক। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঐ পাম্প থেকে পুরকর পাচ্ছি না। বহুবার পাম্প কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, কিন্তু ফলাফল পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি ওরা ট্রেড লাইসেন্স’ও করেনি। আমরা নোটিস করেছি। ১৫ দিনের মধ্যে পাম্প কর্তৃপক্ষ উত্তর না দিলে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামকে গোটা বিষয়টা জানিয়ে অবিলম্বে এদের ডিলারশিপ বাতিলের ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে এই বিষয়ে পেট্রোল পাম্প মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।