গত ২০ ডিসেম্বর IIT-র ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডিরেক্টর-রেজিস্ট্রার-কে ঘেরাও করেন খড়গপুর আইআইটি-র ছাত্রছাত্রীরা ৷ আলোচনার আশ্বাসে টানা ২৫ ঘণ্টা পর অবশেষে ঘেরাও মুক্ত হন তারা ৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের আন্দোলন শুরু করেন খড়গপুর আইআইটির পড়ুয়ারা ৷ ফি না কমানোর সিদ্ধান্তে এখনও অনড় কর্তৃপক্ষ ৷ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হবে না জানিয়ে দেয় আইআইটি, শুধু ফি জমার সময়সীমা পিছোনো হতে পারে ৷ এর ফলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পড়ুয়াদের বৈঠক ভেস্তে যায় ৷ তাই আপাতত অবস্থান উঠলেও তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা ৷ হোস্টেল ফি, সেমিস্টার ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসসেন কয়েকজন পড়ুয়া ৷
advertisement
প্রতিষ্ঠানের আবহাওয়া এমন উত্তপ্ত হতে দেখেই ছাত্রদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লেখেন খড়গপুরের অধিকর্তা পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী ৷ চিঠিতে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ছাত্র প্রতিনিধিদের ফি বৃদ্ধির বিষয় জানানো হলে বিবেচনার আবেদন করে প্রতিনিধিরা ৷ কর্তৃপক্ষকে আলোচনার সময় দেওয়া হয়নি ৷ তার আগেই ক্যাম্পাসে ছাত্রদের বিক্ষোভ শুরু হয় ৷ এ ধরনের আন্দোলন প্রতিষ্ঠান বিরোধী ৷ লাগাতার আন্দোলনে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলাভঙ্গ হচ্ছে ৷ তবে ফি বৃদ্ধির বোঝা চাপানো আমাদের উদ্দেশ্য নয় ৷ গত কয়েক বছরে পড়ুয়াদের স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান ৷ প্রতিষ্ঠানই এই সংক্রান্ত ব্যয়ভারও বহন করেছে ৷ ফি কমানোর বিষয় বিবেচনাধীন প্রতিষ্ঠানের সবদিক বজায় রেখে আলোচনা হবে ৷ সরকারি নির্দেশিকা মেনে আমাদের চলতে হয় ৷ ছাত্রদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছি ৷ প্রতিষ্ঠানের গৌরব ছাত্রদেরই বজায় রাখতে হবে ৷ আশা করছি, শীঘ্রই অচলাবস্থা কেটে যাবে ৷’
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে এমন ছাত্র-বিক্ষোভ খড়গপুর আইআইটিতে প্রায় নজিরবিহীন। পড়ুয়াদের অবশ্য বক্তব্য, বাধ্য হয়েই পথে নেমেছেন তাঁরা। সব পড়ুয়ার থেকেই হল (হস্টেল) ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ফি নেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ।
স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীদের বেতন, পেনশন, হস্টেলের থাকা-খাওয়া বাবদ নেওয়া সেই ফি প্রতি সেমিস্টারে ছাত্র পিছু ৭,৫৫০ টাকা বাড়ানো হবে বলে গত ৭ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করেন খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে, গবেষক ও Mtech পড়ুয়াদের প্রতি সেমিস্টারের খরচ প্রায় ২৯ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হবে প্রায় ৩৭ হাজার টাকা। ছ’মাস অন্তর এই টাকা দিতে হবে। এক ধাক্কায় এই ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তেই এখন চটেছেন পড়ুয়ারা।