রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষণামত ‘জিরো হাঙ্গার’ ডেডলাইন ২০৩০, সহজ নয়। সারা পৃথিবীর মধ্যে প্রত্যেকটি মানুষের দুবেলা পেট ভর্তি খাওয়ার জোগান করা সহজ নয়, এর জন্য প্রতিবছর খাদ্যশস্য উৎপাদনের হার বাড়াতে হবে। তবে এতেই আশঙ্কার কালো মেঘ। পরিবেশ বিষয়ে আইআইটি খড়্গপুরের দুই গবেষকের গবেষণা রীতিমত চিন্তার হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: মুখে, হাতে লেগে ছাই! দাদুর দেহভস্ম মুখে পুরে দিল নাতি? তারপর যা হল…তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া
advertisement
আইআইটি খড়্গপুরের কোরালের অধ্যাপক জয় নারায়ন কুট্টিপুরথ এবং গবেষক কে.এস অনঘের গবেষণা আশাব্যঞ্জক নয়। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ওজোন স্তরের দূষণ ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে সাধারণ মানুষের মধ্যে। খাদ্যশস্যে নমুনা বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখিয়েছেন, ধান গম ভুট্টা এবং অন্যান্য খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে ওজনের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি। যা দিনের পর দিন চিন্তার হয়ে দাঁড়াচ্ছে সকলের কাছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সায়েন্স জার্নাল এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চে প্রকাশিত হয়েছে গবেষকদের এই গবেষণাপত্রটি। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বাতাসে ওজনের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে।
আগামী ২০৫০ সালে স্বাভাবিকের তুলনায় ছয় গুণ বেড়ে যাবে ওজোনের পরিমান। আর এমনটা হলে গম কিংবা চালের উৎপাদন বেশ অনেক শতাংশ কমে যাবে। উৎপাদন কম হলে, পৃথিবীতে বাড়বে অনাহারের সংখ্যা। রাষ্ট্রপুঞ্জের জিরো হাঙ্গার প্রকল্প কোনওভাবেই প্রতিফলিত হবে না।
প্রসঙ্গত, যে পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয় তা উন্নয়নশীল দেশের কাছে সকল মানুষের পেটভর্তি খাবার জোগায় না। স্বাভাবিকভাবেই আগামী দিনে উৎপাদন কমতে শুরু করলে সারা বিশ্ববাসীর কাছে অত্যন্ত করুন দিন হয়ে দাঁড়াবে। গবেষকদের মত, সারা বিশ্বের স্বার্থে ওজোন দূষণে লাগাম দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত এই গবেষণা বেশ ভয়ঙ্কর সকলের কাছে।
রঞ্জন চন্দ