গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবা জোরদার করতে এক্সইমেজিং ইনকর্পোরেটেড সংস্থার সঙ্গে ‘মউ’ স্বাক্ষর করল আইআইটি খড়গপুর। নেতৃত্বে রয়েছেন আইআইটি খড়গপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তনী জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়। সাফল্য মিললে ভারতে এই ধরনের কাজ প্রথম হবে।
advertisement
এমআরআই যন্ত্র মানেই সেটি আকারে বড়। দামও বেশ বেশি। নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে হয়। পরীক্ষার জন্য রোগীকে যন্ত্রের কাছে নিয়ে যেতে হয়। গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আবার সেই যন্ত্র মেলে না। ফলে এমআরআই করাতে হলে গ্রাম থেকে শহরে ছুটতে হয়। তাই গ্রামীণ এলাকার চিকিৎসা পরিষেবার উন্নয়নে এবার পোর্টেবল এমআরআই যন্ত্র তৈরি করছে আইআইটি খড়গপুর।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর, এই যন্ত্র তৈরি হলে রোগীকে আর যন্ত্রের কাছে যেতে হবে না। রোগীর শয্যার পাশে এই যন্ত্রটিকে ঠেলে নিয়ে যাওয়া যাবে। বেডের পাশে মিলবে পরীক্ষার সুযোগ। গ্রামীণ এলাকার মানুষও যাতে সহজে এই পরিষেবা পেতে পারেন, সেই জন্য স্বল্প মূল্যের যন্ত্র বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে প্রযুক্তিবিদ্যার এই প্রতিষ্ঠান।
ইতিমধ্যে স্বল্প মূল্যের পোর্টেবল এমআরআই যন্ত্র বানানোর জন্য এক্সইমেজিং ইনকর্পোরেটেড সংস্থার সঙ্গে ‘মউ’ স্বাক্ষর করা হয়েছে। এই যন্ত্র বিশ্বব্যাপী চিকিৎসাক্ষেত্রেও এক আমূল পরিবর্তন ঘটাবে বলে আশাবাদী আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে এই গবেষণার পাশাপাশি এর বাণিজ্যিকীকরণও করা হবে। এর জন্য অন্তত ৬ মিলিয়ন ইউএস ডলারের প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় এক মিলিয়ান ইউএস ডলার অর্থ দেওয়ার কথা আইআইটিকে জানিয়েছেন। বাকি অর্থ ওই সংস্থা ও আইআইটি খড়গপুর যৌথভাবে সংগ্রহ করবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী বলেন, ‘যৌথ অংশীদারিত্বে এই উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে শুধু ভারতবর্ষ নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে। যা সারা বিশ্বের কাছে আইআইটি খড়গপুরের নাম উজ্জ্বল করবে।’ স্বাভাবিকভাবে আগামীতে এই মউ চুক্তি এবং বিশেষ পোর্টেবল এমআরআই যন্ত্র চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।






