৯০ এর দশকে রুগ্ন অবস্থা হয়েছিল বার্নপুর ইসকো কারখানার। তখনই সংস্থার পাঁচটি শ্রমিক সংগঠন মিলে ইসকো বাঁচাও কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি কারখানা বাঁচানোর আবেদন নিয়ে হাজির হয় ইউপিএ প্রথম সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে। তারপর ছবিটার বদল হতে সময় লাগেনি। ২০০৬ সালে ২৪ ডিসেম্বর বার্নপুর এয়ারস্ট্রিপে নামেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। নতুন করে ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপন করেন তিনি।
advertisement
কারখানার জন্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়। সেই বিনিয়োগের পর কারখানা সাফল্যের দিকেই ছুটেছে। প্রচুর শ্রমিক কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। ১ মিলিয়ন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সংস্থাটি বর্তমানে ২.৫ মিলিয়ন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন কারখানা হয়ে উঠেছে। এই কারখানাকে কেন্দ্র করে নবজীবন পেয়েছে বার্নপুর শহর। কারখানাটি সাফল্যের দিকে আরও এগিয়ে যাচ্ছে।
২.৫ মিলিয়ন ক্ষমতা সম্পন্ন থেকে ৭ মিলিয়ন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন কারখানা হতে চলেছে ইসকো। একইসঙ্গে আসছে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। কিন্তু এই সাফল্যের বীজ বপন করেছিলেন সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। যার অবদান আজও ভুলে যায়নি কারখানার শ্রমিক সংগঠন থেকে শুরু করে বার্নপুর শহরের বাসিন্দা, এবং বর্তমান শ্রমিক, কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন- মনমোহনের ‘গুণী’ ৩ কন্যাকে চেনেন? বাবার চেয়ে কম নন কেউ! কী করেন তাঁরা? জানলে চমকাবেন
সকলেই একযোগে বলছেন, সেই দিন মনমোহন সিংয়ের দূরদর্শিতা আজকে কারখানাকে এই সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তিনি ২০০৬ সালের ২৪ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠানের মঞ্চে থেকে বলেছিলেন, এই কারখানা একদিন দেশের অন্যতম সেরা সংস্থা হয়ে উঠবে। তার সেই দূরদর্শিতা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অন্যলোকে পাড়ি দিয়েছেন বটে, কিন্তু তার দূরদর্শিতা যে কতটা সফল, তার প্রমাণ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই কারখানা।





