আসানসোল স্টেশনকে বিশ্বমানের গড়ে তুলতে খরচ হতে পারে, রেলের ধারণা অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। গত ৩ ডিসেম্বর রেলবোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পর নয়া স্টেশনের রূপরেখা ও পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে দ্রুত। কীভাবে হবে সেই কাজ, বা কী কী করা যায় সেটা বোঝার জন্য আসানসোল ডিভিশনের অতিরিক্ত ডিআরএম মুকেশ কুমার মিনার-সহ রেলে ৫ আধিকারিক ভোপালের হাবিবগঞ্জ রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁরা ফিরে এসে রিপোর্ট দিয়েছেন। এখন বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজ চলছে বলে পূর্ব রেল সূত্রের খবর। ১৮৮৫ সালে তৈরি হওয়া আসানসোল রেলস্টেশনটি রাজ্যের অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী স্টেশন। ফলে এই স্টেশনের হেরিটেজ বিল্ডিংকে বাঁচিয়ে রেখেই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আগেই বলেছিলাম...' BJP-র সাফল্যে আশাবাদী হলেও সতর্কতায় জোর দিলীপ ঘোষের
বাংলা, ঝাড়খণ্ড এবং বিহার এই তিন রাজ্যের মধ্যে বিস্তৃত আসানসোল রেল ডিভিশন ৷ আর আসানসোল রেল ডিভিশনের অন্যতম পরিচ্ছন্ন, উন্নত এবং আধুনিক রেল স্টেশন হল এই আসানসোল ৷ পূর্ব ভারতের এই তিন রাজ্যের সংযোগকারী অন্যতম বড় জংশন স্টেশন এটি ৷ এই স্টেশনের ঐতিহাসিক গুরুত্বও কম নয় ৷ ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া আসানসোল ডিভিশনে বহু হেরিটেজ ভবন এবং ঐতিহাসিক নির্মাণ রয়েছে ৷ সেই সব হেরিটেজ ভবনগুলিকে রক্ষা করা, সংস্কার করা এবং বিশেষ করে আসানসোল স্টেশনকে উন্নত মানের গড়ে তোলার কাজ দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ৷
আরও পড়ুন: মন্দির খোলা নিয়ম মেনে, কিন্তু তারাপীঠে আগতদের জন্য বড় খবর! না জেনে যাবেন না...
আগামী দু’বছরের মধ্যেই আসানসোল রেল স্টেশনকে বিশ্বমানের রেল স্টেশনের রূপ দেওয়া হবে ৷ যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য, নিরাপত্তা যেমন থাকবে ৷ তেমনি যাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে আসানসোল রেল স্টেশনে ৷ বিদেশের মডেল স্টেশনগুলিকে অনুসরণ করেই আসানসোল স্টেশনকে তৈরি করা হবে বলে রেল সূত্রে খবর ৷স্টেশনের সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি, বিমানবন্দরের মতো যাত্রীদের লাগেজ পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র থাকবে ৷ বিশ্রাম কক্ষ, ইন্টারনেট পরিষেবা, বায়ো টয়লেট, পরিশুদ্ধ পানীয়জলের ব্যবস্থা সবই বিশ্বমানের হবে বলে জানা গিয়েছে ৷