সকালে প্রতিবেশীরা দেখতে পান তালা ভাঙা, দরজা খোলা অবস্থায় রয়েছে মন্দির। দেখে সন্দেহ হওয়ায় পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ খবর দেন ওই মন্দিরের সেবাইত-সহ অন্যান্যদের। এলাকারই বাসিন্দার গোস্বামী পরিবারের এই মন্দির। সকলে এসে দেখেন মন্দিরের কষ্টিপাথরের কৃষ্ণমূর্তি উধাও। এছাড়াও বেশ কয়েকটি পিতলের মূর্তি ও গয়না খোয়া গেছে বলে জানা গিয়েছে। বলাইচাঁদের মূর্তি ও শিবলিঙ্গগুলি রয়ে গেছে মন্দিরে। ঘটনাস্থলে যায় মেমারী থানার সাতগেছিয়া ফাঁড়ির পুলিশ। তারা সব কিছু খতিয়ে দেখে।
advertisement
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছে, মন্দিরে যে এভাবে চুরি হবে তা কারো ভাবনার মধ্যে ছিল না। সকালে মন্দিরের দরজা খোলা দেখেই সন্দেহ হয়। তার পর কাছে গিয়ে দেখা যায় দরজার তালা ভাঙা। মন্দিরে যে চুরি হয়েছে তা বুঝতে আর বাকি ছিল না। এরপরই সেবাইতদের খবর দেওয়া হয়। দেখা যায় কষ্টিপাথরের কৃষ্ণ মূর্তি নেই। সেই সঙ্গে বেশ কিছু গয়নাও দুষ্কৃতীরা নিয়ে গিয়েছে।
কালীপুজোর সময় আউশগ্রাম ভাতারের কয়েকটি মন্দিরে পর পর চুরি হচ্ছিল। বেশ কিছুদিন পর এই চুরির সঙ্গে যুক্ত চক্রটিকে সনাক্ত করে পুলিশ। মন্দিরে চুরির অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়। তারপর এই চুরি বন্ধ ছিল। ফের চুরির ঘটনা ঘটলো মেমারি থানার সাতগেছিয়ায়।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, চুরি যাওয়া কৃষ্ণ মূর্তিটি খুব তাড়াতাড়ি উদ্ধার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ওই এলাকায় ঢোকা ও বের হওয়ার সি সি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত এই চুরির কিনারা করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আশপাশের থানাগুলিকেও এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলা হচ্ছে।