আর ঠিক সেই পথই যেন অবলম্বন করে চলেছেন বিশ্ববন্ধু। নিজেই হাতে তুলে নিয়েছেন ঝাঁটা এবং চেষ্টা করছেন একটা আবর্জনা মুক্ত পরিবেশ সকলকে উপহার দেওয়ার। থানার আইসি বলে তাঁর মধ্যে কোনও গরম বা অহংকার নেই। সত্যিই তিনি যেন বিশ্ববন্ধু। সুস্থ সমাজের জন্য কাজ করে চলেছেন নিঃস্বার্থ ভাবে। আইসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজ বলেন, “আমরা থানা তরফ থেকে এই অভিযান চালিয়ে যাব। এই কাজের মাধ্যমে বার্তা দিতে চাইছি হাসপাতালতাকে পরিষ্কার রাখা এবং পরিষ্কার রাখার জন্য সাধারণ মানুষকেও সচেতন করা। হাসপাতাল সকলের কাছে একটা সম্পদ। এই কাজ রবিবার করছি এবং আগামী দিনেও চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা রয়েছে।”
advertisement
স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য ডিউটির বাইরেও পরিশ্রম করেন বিশ্ববন্ধু। তবে এই কাজ তিনি নিজে যেমন করেন সেরকমই তাঁকে সাহায্য করেন থানার স্টাফ এবং কিছু সিভিক ভলেন্টিয়ার। বিশ্ববন্ধুর কথায়, প্রত্যেক রবিবার তাঁরা সকলে মিলে এই ধরনের কাজ করবেন। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই প্রত্যেক রবিবারে চলছে যেন বিশ্ববন্ধুর পরিবেশ অভিযান। তবে, রবিবার অভিযান চালানো ছাড়াও ডিউটি সামলানোর পরেও তিনি চেষ্টা করেন থানা চত্বর পরিষ্কার রাখার। নিজের হাতে ঝাঁটা নিয়ে ঝাঁট দেন থানা এলাকা। ঝাঁট দেওয়ার পরে আবার সেই আবর্জনা নিজেই হাতে করে ফেলে দেন ডাস্টবিনের মধ্যে।
আরও পড়ুন: পড়শী দেশের দূষিত জলে নাকাল মাথাভাঙ্গা ও চূর্ণী নদী, ক্ষোভ মৎস্যজীবী থেকে স্থানীয়দের
প্রায় প্রত্যেকদিন নিয়মিত তিনি এই কাজ করেন। থানা চত্বর পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এই বিষয়ে সচেতন করেন। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তিনি স্থানীয় এলাকায় সাইন বোর্ডও লাগিয়েছেন। বোর্ডের মধ্যে লেখা রয়েছে সচেতনতা মূলক বার্তা। বিশ্ববন্ধুর কথায়, পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে রোগের প্রাদূর্ভাব অনেকটাই কমবে এবং পরিবেশ এবং স্বাস্থ্য দুটোই ভাল থাকবে। আইসি বিশ্ববন্ধুর এই কর্মকাণ্ডে আপ্লুত স্থানীয় এলাকাবাসীরাও। স্থানীয়রাও এখন অনেকটাই সচেতন হয়েছেন। জেলার পরিবেশপ্রেমীরাও আইসির এই প্রচেষ্টাকে স্বাধুবাদ জানিয়েছেন।