সুইসাইড নোটে ঋষিক লিখেছে, 'টিচারদের ইংলিশে পড়ানো মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে৷ কম্পিউটার ক্লাস তো কিছু বুঝতেই পারছি না৷ কলেজে পড়াশোনার লেভেল খুব হাই৷ নিজে থেকেই এত টাকা দিয়ে ভর্তি হলাম৷ চাপ নিতে পারছি না৷ বাপি তো বকবে৷ আমার ওখানে ভর্তি হওয়াটাই ভুল হয়েছে৷ পড়াশোনার চাপ নিতে না-পারায় আত্মহত্যা করছি৷'
advertisement
জানা গিয়েছে, রবিবার হস্টেলে ভর্তি হন ঋষিক৷ মঙ্গলবার পর্যন্ত ক্লাসও করে৷ বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত হস্টেলে দেখা যায় তাকে৷ এর পর থেকে তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ বেনিয়াপুকুর থানায় মিসিং ডায়েরি করেন পরিবার৷ জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের সঙ্গে দেখাও করেন তার বাবা৷ ইংরেজি মাধ্যমের সঙ্গে মানাতে পারছিলেন না ৷ রুমমেটকে সেই কথা জানিয়েছিলেন ঋষিক ৷ জেভিয়ার্স কলেজে ২ দিন ক্লাস করেন ৷ ৮টার মধ্যে ৪টি ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন ঋষিক৷ খাবার খেয়ে হস্টেল থেকে বেরোন ৷ বালতি কিনতে যাওয়ার নামে বেরোন ঋষিক ৷ ফিরে কলেজে যাবেন বলে বন্ধুদের জানান৷ পিঠে ব্যাগ নিয়েই হস্টেল থেকে বেরোন ঋষিক ৷ কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে ঋষিককে কলেজের দিকে যেতে দেখা যায়নি৷
