কিডনি বিক্রির জন্য প্রায় এক বছর ধরে চলে খোঁজখবর। অবশেষে তিন মাস আগে একটি কিডনি বিক্রি করেন হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা ওই যুবক। কিডনি বিক্রি করে ওই যুবক ভেবেছিলেন, এবার হয়তো সংসারে একটু স্বাচ্ছন্দ্য আসবে৷ আলোর মুখ দেখবেন তারা। কিছুটা হলেও অভাব দূর হবে৷ ভবিষ্যতে মেয়ের বিয়ে দিতেও অসুবিধা হবে না। কিন্তু এর পিছনে যে স্ত্রীর অন্য উদ্দেশ্য ছিল, তা টেরও পাননি ওই যুবক।
advertisement
ওই যুবক যখন কিডনি বেচে সংসারের হাল ফেরানোর চেষ্টা করছেন, তখন অন্যদিকে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় ব্যারাকপুরের সুভাষ কলোনির বাসিন্দা রবি দাসের। রবি দাস পেশায় রং মিস্ত্রি। ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে স্বামীর কিডনি বিক্রি করা টাকা নিয়ে সেই প্রেমিকের সঙ্গেই চম্পট দেন ওই গৃহবধূ৷ এমনটাই অভিযোগ সাঁকরাইলের বাসিন্দা ওই যুবকের। পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এ দিকে ব্যারাকপুরের সুভাষ কলোনিতে প্রেমিক রবি দাসের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন ওই গৃহবধূ৷ সেই খবর পেয়ে শুক্রবার হাওড়ার সাঁকরাইল থেকে ওই যুবক নিজের ১০ বছরের মেয়ে এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেই বাড়িতে হাজির হন ৷ কিন্তু ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন রবি এবং তাঁর প্রেমিকা। কোনও কথা বলতে রাজি হননি তাঁরা। দরজা খুলে শুধু একবারই তাঁরা বলেন, ‘যা পারেন করে নেবেন। ডিভোর্সের চিঠি পাঠিয়ে দেব।’ শশুর, শাশুড়ি, স্বামী ও সন্তানের কাকুতি মিনতির পরেও বাইরে বের হননি ওই গৃহবধূ।