মেঘনার বাবার অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী মনিরুল সাহজীর সঙ্গে মেয়ের বনিবনা হচ্ছিল না। জামাই অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় মেঘনাকে মারধর করে মুখে বিষতেল ঢেলে মনিরুল খুন করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। বধূমৃত্যুর খবর পেয়ে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাংলার বুকে নাটোরের রাজবাড়ি! রাজনন্দিনী রূপে ধরা দেবেন মা দুর্গা, কোথায় দেখা যাবে এই রাজকীয় মণ্ডপ?
মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মনিরুল ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে মনিরুলের পরিবারের তরফ থেকে মেঘনার বাবার বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে স্বরূপনগরের হঠাৎগঞ্জ এলাকায় গিয়ে এক গ্রামীণ চিকিৎসকের বাড়ির সামনে মৃত অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পান তাঁরা। সেই সময় ঘটনাস্থলে মেঘনার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরাই থানায় খবর দেন।
মৃতার বাবার অভিযোগ, স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় ও স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় মারধর করে খুন করে মুখে বিষতেল ঢেলে দিয়ে মেয়ের আত্মহত্যার কথা বলছে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মেঘনার বাপের বাড়ির লোক অভিযুক্ত মনিরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে মনিরুলের বৌদি জানান, গতকাল রাত ১২টা নাগাদ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হয়েছিল। বচসার জেরে মনিরুল জা-কে চড় মারেন। পরবর্তীতে গভীর রাতে মনিরুল জানায় মেঘনার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এরপর তাঁরা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।