অভিযোগ, বিনা টেন্ডারে শত শত গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের দিগনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গাছগুলি প্রায় ২০ বছর আগে পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা লাগিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিনা টেন্ডারে সেই গাছগুলি কেটে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। এমনকী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তাদের পাওনা টাকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
advertisement
আরও পড়ুন- অগ্নিকাণ্ডের দায় কার? কাউন্সিলরকে নিয়ে অভিযোগ মেয়রের কাছে, নারকেলডাঙায় তুমুল উত্তেজনা
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে গাছগুলি স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলারাই লাগিয়েছিলেন। তাঁরাই গাছের পরিচর্যা করতেন। পঞ্চায়েতের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল গাছগুলি পরিণত হলে টেন্ডার ডেকে বিক্রি করা হবে। আর সেই টাকার ৭৫ শতাংশ গোষ্ঠীর মহিলারা পাবেন এবং বাকি ২৫ শতাংশ দিতে হবে পঞ্চায়েতকে।
অভিযোগ, এখন সেই চুক্তি মানা হচ্ছে না। পঞ্চায়েত প্রধান সবিতা মাহাতো এবং তাঁর স্বামী তথা দিগনগর ২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি পরশুরাম মাহাতোর নেতৃত্বে প্রায় দেড় মাস ধরে যাদবগঞ্জ এবং কুমারগঞ্জ গ্রামের রাস্তার দুই ধারে এবং ক্যানেলের বাঁধের ওপরের গাছগুলি কাটার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন- রাত তিনটেয় ঘটল ঘটনাটা! সোদপুর স্টেশনে ১১ ঘণ্টা পড়ে ‘বাপ্পা’র দেহ! শিউরে ওঠা ঘটনা
ইতিমধ্যে ১২০০ থেকে ১৩০০ গাছ গেটের ফেলা হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার গাছের গোড়াগুলিও মাটি থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু গোষ্ঠীর মহিলাদের তাদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হচ্ছে না।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামী। তাঁদের দাবি, যাদের ডকুমেন্টস আছে তাঁরা নিজেরাই গাছ কেটে বিক্রি করেছে, পঞ্চায়েত বিষয়গুলি দেখেছে। ডকুমেন্ট ছাড়া এরকম কোনও গাছ কাটা হয়নি। যদি হয়ে থাকে পঞ্চায়েতে এসে খোঁজ নিক। তাঁরা হয়তো পঞ্চায়েতে এসে খোঁজ নেয়নি।
–শরদিন্দু ঘোষ