গত বুধবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে বাড়ির সামনে থেকে এই দম্পতির গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়৷ এই ঘটনায় বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ুনকে৷ বাবা-মাকে খুন করার পর উত্তর চব্বিশ পরগণার বনগাঁয় এসে বেশ কয়েকজনের উপরে ছুরি দিয়ে হামলা চালায় সে৷ বনগাঁ থেকেই গ্রেফতার করা হয় হুমায়ুনকে৷
advertisement
আরও পড়ুন: হাতে বৌদির কাটা মুণ্ডু, রাস্তা দিয়ে হাঁটছে দেওর! আম পাড়ার ভয়ানক পরিণতি, শিউরে উঠল বাসন্তী
মেমারি থানার পুলিশের জেরায় ধৃত হুমায়ুন জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ বাবা-মায়ের ঘরে ঢোকে সে৷ বাবাকে মারারই পরিকল্পনা করেছিল হুমায়ুন৷ কিন্তু তার ঘরে ঢোকার শব্দে মা জেগে যান মা মমতাজ পরভিন৷ ছেলের হাতে ছুরি দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান তিনি৷ তখনই গলার নলি কেটে মাকে প্রথমে খুন করে বছর ৩৫-এর হুমায়ুন৷ এর পরই বাবা মুস্তাফিজুরকে খুন করে সে৷
হুমায়ুন জেরায় স্বীকার করেছে, বাবা মাকে খুনের পর সে নিজেই দুটি দেহ টানতে টানতে বাড়ির সামনে রাস্তায় গিয়ে গিয়ে ফেলেছিল৷ বাবা-মায়ের বুকের উপরে তাঁদের মোবাইল ফোনও রেখে দেয় সে৷ কিন্তু কেন মৃতদেহ দুটি রাস্তায় টেনে আনল সে? তদন্তকারীদের অনুমান, বাবা মায়ের দেহ সম্ভবত পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল হুমায়ুনের৷ এ বিষয়ে হুমায়ুনকে আরও জেরা করছে মেমারি থানার পুলিশ৷