TRENDING:

Humanity: মানবিকতার কাছে হার মানল কাঁটাতার, শেষবারের জন্য মায়ের মুখ দেখলেন দুই বৃদ্ধা

Last Updated:

Humanity: দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মানবিকতার জেরেই শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখতে পেলেন দুই বৃদ্ধা। সূত্রের খবর রবিবার দিন মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধাদের মায়ের

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মৈনাক দেবনাথ, নদিয়া: মানবিকতার কাছে হার মানল দুই দেশের সীমান্তের বেড়া। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মানবিকতার জেরেই শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখতে পেলেন দুই বৃদ্ধা। সূত্রের খবর রবিবার দিন মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধাদের মায়ের। বিয়ের পর থেকে তাঁদের স্থায়ী ঠিকানা বাংলাদেশের চোঁয়াডাঙা জেলার গয়েশপুরে। রবিবার রাতে মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে শুধু সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা  করেছেন তাঁরা। যেমন করেই হোক শেষবারের মত মায়ের মুখটা দেখার ব্যবস্থা করুক দুই দেশের সরকার, এমনটাই আর্জি ছিল তাঁদের।
মানবিকতার কাছে হার মানল কাঁটাতার
মানবিকতার কাছে হার মানল কাঁটাতার
advertisement

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ পারে, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে আসার কোনও উপায় না পেয়ে তাঁরা হাজির হন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবির ক্যাম্পে। এ পারেও একইরকম ভাবে চলতে থাকে চেষ্টা। শেষ পর্যন্ত সোমবার সকাল ন’টা নাগাদ বিএসএফ এবং বিজিবির উপস্থিতিতে ভারতীয় গ্রামের শেষমাথা কুলোপাড়া পেরিয়ে আত্মীয়দের নিয়ে দুই বৃদ্ধা হাজির হন জিরো পয়েন্টে। সামান্য প্রতীক্ষার পরে কফিনে করে নিয়ে আসা হয় সাকিনা বেওয়া (৯২) -র দেহ। বৃদ্ধার দুই মেয়ে-সহ অন্য আত্মীয় মৃত সাকিনাকে শেষবারের মতো দেখে লুটিয়ে পড়েন বালির চরে। কফিনের সামনে হাঁটুমুড়ে শুধু মায়ের জন্য প্রার্থনা নয়, ইচ্ছেপূরণ হওয়ায় তাঁরা কৃতজ্ঞতা জানান সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে। সঙ্গে ধন্যবাদ জানান দু’পারের সীমান্তরক্ষীদের।

advertisement

আরও পড়ুন : ইউরিক অ্যাসিড থেকে পায়ের পাতায় খুব যন্ত্রণা? রেহাই পেতে বন্ধ করুন এই ৪ ডাল খাওয়া

View More

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দিঘা যাওয়ার পথে নেগুয়া গ্রাম! এখানেই রয়েছে বঙ্কিমচন্দ্রের রহস্যময় ইতিহাস, জানুন
আরও দেখুন

কীভাবে সম্ভব হল? মাটিয়ারি বানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় দুই পঞ্চায়েত সদস্য ছাত্তার মণ্ডল ও সাহিদুল মণ্ডল বলেন, ‘‘রবিবার রাতেই মৃতার পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে এমন আর্জির কথা শুনে আমি রাতেই বিএসএফ-এর সংশ্লিষ্ট এক পদস্থকে অনুরোধ করি। ওঁরা সোমবার সকাল সাড়ে ন’টায় হিউম্যানিটি গ্রাউন্ডে সাড়া দিয়ে মৃতদেহ জিরো পয়েন্টে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। আমরা ফোন করে নির্দিষ্ট জায়গায় আসতে বলি। এরপর বৃদ্ধার দুই মেয়ে ও তাঁদের আত্মীয়রা মৃতদেহ দেখে ফের বাংলাদেশের গ্রামে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান’’

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Humanity: মানবিকতার কাছে হার মানল কাঁটাতার, শেষবারের জন্য মায়ের মুখ দেখলেন দুই বৃদ্ধা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল