নাবালিকার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন, অবৈধ ভাবে সীমান্ত পর করে নাবালিকাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়, সীমান্ত পার করার পর নাবালিকাকে কলকাতা হয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কটকে। মানব পাচার চক্রের যোগ থাকার তথ্য সামনে আসতেই তদন্ত শুরু করে NIA গোয়েন্দারা। তদন্তে নেমে এক দম্পতির নাম সামনে উঠে আসে, যারা আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা।
advertisement
আরও পড়ুন: শ্রাদ্ধের দিন সমাধিতে এমন কাণ্ড! দৃশ্য দেখে শিউরে উঠছেন লাহিলের বাসিন্দারা, অবিশ্বাস্য ঘটনা
এই মানব পাচার চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃতি তা তদন্ত করতে গিয়ে আর্থিক লেনদেনে খতিয়ে দেখে বনগাঁর বাসিন্দা অমল কৃষ্ণ মণ্ডল এবং আমির আলি শেখের যোগ উঠে আসে। আমির আলি শেখের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত। অমল কৃষ্ণ মণ্ডল বনগাঁর বাসিন্দা। ভুবনেশ্বর থেকে আসা NIA টিম গতকাল অভিযান চালিয়ে বনগাঁর বাসিন্দা অমল কৃষ্ণ মণ্ডল এবং আমির আলি শেখকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: বিজেপির কোর কমিটিতে কি ফিরবেন, আভাস পেতেই এ কোথায় গেলেন দিলীপ ঘোষ! মহালয়ায় বিরাট চমক
ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করার পর ট্রানজিট রিমান্ডে ভুবনেশ্বর নিয়ে যায় NIA। এনআইএ সূত্রে দাবি, বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকা চক্রীদের সঙ্গে আমির আলি শেখের আর্থিক লেনদেন পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশের অনলাইন অ্যাপে টাকা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অমলকৃষ্ণের সঙ্গেও আর্থিক লেনদেন হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যুবতীদের সীমান্ত পার করে এপারে এনে অমলকৃষ্ণ তাদের আশ্রয় দিত। তারপর বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হত যুবতীদের। বিক্রি করা বাবদ যে টাকা আসত, তা আমির ও অমল দুজনে অনলাইনে পাঠিয়ে দিত বাংলাদেশে।
অমিত সরকার