ভয়াবহ বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল, এ দিন সকালেও ঘটনাস্থলে গিয়ে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ যেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, তার পিছন দিকে প্রায় ৩০ মিটার দূরে এ দিন সকালে উদ্ধার হয় আরও একটি দেহ৷ ৫০ মিটার দূরে কলাবাগানে মিলেছে একজনের মুণ্ডু৷ প্রায় ৮০ মিটার দূরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মিলেছে কাটা হাত!
advertisement
নীলগঞ্জে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গতকাল রাতেই একজনকে গ্রেফতার করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ৷ অভিযুক্তের নাম সফিকুল ইসলাম৷ সফিকুল এই বাজি ব্যবসার অন্যতম অংশীদার ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত কেরামতের ঘনিষ্ঠও ছিল সফিকুল৷ পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০০ কেজির মতো নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও বাজি তৈরির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷
গতকাল দত্তপুকুরের নীলগঞ্জের বাজি কারখানার এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়৷ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন৷ বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে, কংক্রিটের বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়ে পাশের বাড়ির উপরে পড়ে৷ ঘটনাস্থলে রীতিমতো ল্যাবরেটরি তৈরি করে বাজি তৈরি হচ্ছিল৷ শুধু শব্দবাজি, নাকি বাজি কারখানার আড়ালে বোমাও তৈরি হত ওই কারখানায়, ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সেই প্রশ্নও উঠছে৷