বর্ধমান শহর লাগোয়া সরাইটিকরের বাসিন্দা মহম্মদ তালহা। বাবা হুগলির একটি স্কুলের আরবির শিক্ষক। মা গৃহবধূ। ভাই ক্লাস এইটে পড়ে।
সরাইটিকরের বাড়িতে বসে তালহা জানান, ''ভালো ফল আশা করেছিলাম। তবে দ্বিতীয় হব এতটা আশা করিনি। অনলাইনে ফলাফল দেখতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। ভীষণ ভালো লাগছে।'' তালহা জানিয়েছেন, ঘুমোতে তাঁর সবথেকে বেশি ভালো লাগে। আল আমিন মিশনে পড়াশোনার বাইরে দিনে ৪ ঘন্টার বেশি পড়াশোনা করতেন না। বেশিক্ষণ না পড়ায় শিক্ষকেরা বকাবকিও করতেন। তারপরও এই ফলাফলে খুশি সকলেই।
advertisement
মহম্মদ তালহা পড়াশোনার বাইরে ফুটবল খেলা দেখতে ভালোবাসেন। তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি। পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে ভীষণ ভালবাসেন । 'ফেলুদা সিরিজের গল্প অনেকবার পড়েছি' বলে জানালেন তালহা। তাঁর মতে, '' এই করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকেই নতুন করে মানিয়ে নিতে হবে। আগের স্বাভাবিক অবস্থা আর হয়তো ফিরে আসবে না। নতুন স্বাভাবিক অবস্থার সঙ্গেই সবাইকে সাবলীল হতে হবে।'' আগামী এক বছরের মধ্যে করোনার আতঙ্ক অনেকটাই দূরে সরে যায় বলে আশাবাদী দ্বিতীয় স্থানাধিকারী এই ছাত্র। তাঁর বক্তব্য, '' করোনা আবহে এখন অনলাইন ক্লাসই ভরসা। প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস বা অন্য কিছু ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে অনলাইনে পড়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।''
SARADINDU GHOSH