বীরভূমের পাড়ুই। ২০১৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে সংবাদ শিরোনামে। বিশ্বভারতী থেকে কয়েক কিলোমিটারের দূরে শান্ত-সবুজ ঘেরা কসবা গ্রাম-পঞ্চায়েত। এই কসবাতেই বোমা মেরে খুন করা হয় নির্দল প্রার্থীর বাবা সাগর ঘোষকে। সমালোচনার ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। তিন বছরে ঝড় থেমে গেছে। সাগর ঘোষের ছেলে হৃদয় ঘোষের হাতেই কসবা গ্রাম-পঞ্চায়েতে শাসক দলকে জিতিয়ে আনার দায়িত্ব।
advertisement
একদা পুরানো তৃণমূল কংগ্রেসকর্মী প্রথমে নির্দল তারপর বিজেপি ঘুরে এখন ফিরে গেছেন পুরানো দলে। অথচ ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে এই হৃদয় ঘোষই লড়েছিলেন বিজেপির হয়ে। ধাক্কা খেয়েছিল শাসক দল। ২০১১তে বিধানসভা নির্বাচনে পাড়ুইএর কসবা গ্রাম-পঞ্চায়েতে তৃণমূলের লিড ছিল ৫১২ ভোটে। ২০১৪র নির্বাচনে শাসকদল পিছিয়ে পরে ২৬৭৬ ভোটে।
স্থানীয় বিরোধীদের সমালোচনাকে কার্যত গায়ে মাখছেন না এখন শাসকের ত্রাতা, একদা ত্রাস হৃদয় ঘোষ-নিমাই দাসেরা। মাঠে ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী গদাধর হাজরাকে নিয়ে।প্রার্থীও নিশ্চিত হৃদয় ঘোষের মত হৃদয় পেয়ে।
রাজনীতি বড় বালাই। ভোট-জেতা আরও বড় মাথাব্যাথা। খোদ জেলা সভাপতি বলছেন, হৃদয় খুব ভাল ছেলে। ব্যাস। জেলা সভাপতির এই কথার পর সব কিছু মিলে মিশে একাকার। ফুরফুরে কেষ্ট। নানুর বিধানসভায় এবারের টাফ লড়াইটা হেলে পরছে তৃণমূলের দিকে। কাজল শেখ ছাড়া আর কোন কাঁটা নেই।
রিপোর্ট- অর্নব হাজরা