বুধবার সকাল থেকে রাজ্য ও জাতীয় সড়কে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বা যাত্রীবাহী সাধারণ যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা মেলে। গ্রামীণ সড়ক ও রাজ্য সড়কের টোটো অটোর মত যানবাহন ও কম। ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রেও প্রায় স্বাভাবিক ছবি।
advertisement
যদিও বাগনান স্টেশনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বন্ধের সমর্থনে সাময়িক অবরোধ করে। লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম দেখা যায়। সড়কপথে বিভিন্ন রুটে গাড়ির সংখ্যা কম থাকার ফলে সামান্য মানুষ সমস্যায় পড়েন।
হাওড়া শহর ও গ্রামাঞ্চলে বন্ধের প্রভাব সেভাবে দেখা যায়নি। যেমন সকালে অধিকাংশ বাজার খোলা, তবে কিছু এলাকায় দোকানপাট বন্ধ দেখা গিয়েছে। অভিযোগ কোথাও কোথাও বন্ধ সমর্থনকারীরা বলপূর্বক দোকান পাঠ বন্ধ করার চেষ্টা চালায়।
বন্ধ সমর্থনে হাওড়া শহরের কদমতলা পাওয়ার হাউস এলাকায় বিজেপি সমর্থকরা জোর করে দোকানপাট বন্ধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। অন্যদিকে বন্ধ কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে হাওড়ার পাঁচলা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে পাঁচলা ও রাজাপুর সংযোগস্থলে বাজারে সকাল থেকে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই সাধারণ দিনের মত উপস্থিত। বাজারে স্থায়ী অস্থায়ী বহু দোকান খোলা। সে সময় কিছু মানুষ মাইকিং করে বন্ধের সমর্থনে বাজারে বন্ধ করতে চেষ্টা করলে শুরু দুপক্ষের মধ্যে ইট বৃষ্টি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাজাপুর ও পাঁচলা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: নবান্নের সামনেই চলে এল বিক্ষোভকারীরা! দফায় দফায় ইটবৃষ্টি, রেড রোড বন্ধ, ছুটে গেল বিরাট পুলিশ বাহিনী
পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার। এরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকায় স্কুল-কলেজ সমস্ত কিছুই সচল ছিল। এদিকে জেলা জুড়ে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল রাস্তার মোড় গুলিতে পুলিশি পাহারা ও রাস্তায় পুলিশের টহলদারি চলে।বুধবার দুপুরের পর থেকে যানচলাচল কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দের দিকে।
রাকেশ মাইতি