মৌলির ক্যানসার ধরা পড়ে। কিন্তু তবুও ভালবাসার মানুষকে ছেড়ে যায়নি সাগর। খারাপ সময়েও ভালবাসার মানুষের সর্বদা পাশে থাকেছে। সুস্থ করে তোলার চেষ্টা, চোখে চোখে রেখেও শেষ রক্ষা হয়নি। হঠাৎ মৌলির মৃত্যু হয়, তরতাজা যুবতীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। প্রেমিকার মৃত্যুর পর প্রেমিকের নেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে।
advertisement
দু’জনে অনেক স্বপ্ন দেখেছিল, সেসব স্বপ্ন পূরণ হবার আগেই হঠাৎ দুঃসময় নেমে আসে মৌলির অসুস্থতার জেরে। দুই পরিবারের সম্মতিতে বেনারসি পড়ে গোলাপের মালা পড়ে ধুমধাম করে বিয়ে করবে স্বপ্ন ছিল মৌলির। কিন্তু মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। বিয়ের আগেই মৃত্যু হয় মৌলির। এদিকে মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই মৌলির বাড়িতে পৌঁছয় সাগর। মৃত প্রেমিকাকে বুকে টেনে নেয়। মৃত্যু পরবর্তী সময়ে মৌলীর শেষ ইচ্ছে পূরণও করে।
পরিবারের সম্মতিতে মৌলীর শরীরে বেনারসী চাপিয়ে, গোলাপের মালা পরিয়ে সিঁদুরে তাঁর সিঁথি রাঙিয়ে বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় মৌলিকে। জানা গিয়েছে, সাগরের বাড়ির লোক বরণ করে নেন নববধূকে। মৌলির ইচ্ছে ছিল বেনারসী পরে গোলাপের মালা পরে ধুমধাম করে বিয়ে করবে। সেই স্বপ্ন পূরণ হল, কিন্তু মৃত্যু পরবর্তী সময়ে। মাথায় সিঁদুর , হাতে পলা। মৃত প্রেমিকাকে তাঁর একমাত্র ইচ্ছে অনুসারে স্ত্রী করে নেয় সাগর।
সাগরের চোখের জল ভিজিয়ে দেয় শেষকৃত্যের আগুন। মন ভাঙা বুকে কষ্ট নিয়েই প্রেমিকার ইচ্ছে পূরণ করেছে সে। আর এদিন সেই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বহু মানুষ। আর এমন নির্ভেজার ভালবাসা বিরল, মানুষের মনের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে আজীবন।
রাকেশ মাইতি