মাঝেমধ্যেই সামনে আসে হনুমানের তাণ্ডবলীলার খবর। হনুমানের দল কোথাও শস্য খেত উৎখাত করছে, কোথাও গৃহস্থ বাড়ির রান্নায় থাবা বসিয়েছে আবার কোথাও দোকান থেকে চানাচুর-বিস্কুটের জার নিয়ে পালিয়েছে। হনুমানেদের নিয়ে সাধারণ মানুষের ভুরিভুরি অভিযোগ! কয়েকদিন আগে হাওড়ার পাঁচলা বিকিহাকোলা এলাকায় হনুমানের আক্রমণে একাধিক মানুষ আহত, রক্তাক্ত হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা। কিন্তু তারা বন্যপ্রাণীদের উপর আক্রমণ বা কোনওরকম উগ্র মনোভাব না দেখিয়ে। বনদফতরের সহযোগিতার আবেদন জানান। তারপর বনদফতর ‘খুনি’ হনুমানটিকে খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা করে। এমন ঘটনা গত কয়েক বছরে, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে।
advertisement
সোমবার গোবিন্দপুর নলদা এলাকায় পরপর ২ হনুমানের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। জানা যায়, কয়েকদিন আগে একসঙ্গে চারটি হনুমানের মৃতদেহ দেখা যায়। ঘটনার খবর পাওয়ার পর তৎপর হয় ফিউচার ফর নেচার ফাউন্ডেশন-এর সদস্যরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সংগঠনের সদস্য সৌরভ দত্ত। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। বিকেলে বন কর্মীরা মৃত হনুমানের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
রাকেশ মাইতি