মেয়েটি জানায়, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাকে কাজ করার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। একটি ইভেন্ট কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার অজুহাতে তাকে হাওড়ায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ঘটেছিল এই ভয়ঙ্কর ঘটনা৷
মেয়েটি জানিয়েছে যে তাকে জোর করে একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। তারপরই শুরু হয়েছিল ভয়ানক অত্যাচার৷ তাকে মারধর করা হয়েছিল এবং তারপর অশ্লীল ভিডিও তুলতে বাধ্য করা হয়েছিল। পুলিশি তদন্তে জানা গেছে যে বাড়িতে এই সব ঘটছিল সেখানে আগেও অবৈধ অস্ত্র এবং বোমা পাওয়া গিয়েছিল। মা শ্বেতা খানকে আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পর তিনি অন্য একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এটি ছিল একটি যৌন ব়্যাকেট, যা দিনের পর দিন ধরে চালাচ্ছিলেন মা ও তার ছেলে ।
advertisement
স্থানীয় লোকজন বলেন যে তারা সবকিছু জানে, কিন্তু কেউই খোলাখুলি এই বিষয়েকথা বলেনি। নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে একজন ব্যক্তি বলেন, ‘প্রতিদিন নতুন নতুন মুখ আসত। মহিলাটি বলত যে এরা আমার বন্ধু। কিন্তু সবাই জানত যে কিছু একটা সমস্যা চলছে ভিতরে।’
মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷ পুলিশের কাছে এই মামল সম্পর্কিত অনেক ভিডিও, রেকর্ডিং এবং বিবৃতি এসেছে। মেয়েটির চোখ ফোলা এবং শরীরেও নির্যাতনের দাগ রয়েছে । এই মামলায় জড়িত একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং মামলাটি এখন গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। শুরুতে এটি শুধু একটি ফ্ল্যাট ছিল৷ কিন্তু এখন এই ফ্ল্যাটটি হাওড়ার সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর যৌন ব়্যাকেটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যা শুনে চিন্তায় ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর৷