বৃহস্পতিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন ১১টা ছুঁই ছুঁই। আকাশ মেঘলা, ঝিরঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। বাড়ির গৃহকর্ত্রী শিপ্রা দাস ঘরদোর পরিষ্কার করে নোংরা বাইরে ফেলতে বেরিয়েছিলেন। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা প্রাচীর ঘেরা বাড়ির দরজা আলগা পেয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। নোংরা ফেলে গৃহকর্ত্রী ঘরে প্রবেশ করতেই দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব শুরু। বাড়িতে ঢুকে গৃহকর্ত্রীকে বেঁধে তাঁর চোখের সামনেই লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ঐতিহ্যে মিশেছে আধুনিকতা, বেতের বোনা আসবাবে আজও অপরূপ শৌখিন বাঙালির অন্দরসজ্জা
বেঁধেও ক্ষান্ত হয়নি দুষ্কৃতীরা। বৃদ্ধা বাধা দিতে গেলে তাঁর গলায় ছুরি ধরে লুটপাট চালানো হয়। এমনটাই অভিযোগ গৃহকর্ত্রীর। জানা যায়, ওই বাড়ির ছেলে বর্তমানে হোমিও প্যাথির চিকিৎসক। বুধবার বিশেষ কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন। মেয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার অতিরিক্ত জেলা শাসক বলে জানা গেছে। আর সেই বাড়িতেই দিনে-দুপুরে এমন কাণ্ড।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দুষ্কৃতীরা ওই বাড়ি থেকে এদিন সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেয়। সেই সঙ্গে, ওই বাড়ির মেয়ের স্কুটি গাড়িটিও নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সোনার গয়না বাইক নিয়ে দুষ্কৃতীরা বাড়ি ছাড়তেই মহিলা চিৎকার করেন। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে রাজাপুর থানার পুলিশ পৌছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দিনে দুপুরে এমন ঘটনা স্বাভাবিকভাবে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
রাকেশ মাইতি