শীতের শুরু থেকে টানা ২-৩ মাস সাঁতরাগাছি ঝিল পাড়ে রীতিমতো মানুষের ঢল দেখা যায়। শনি-রবি এবং ছুটির দিনগুলিতে মেলার মতো মানুষের উপস্থিতি থাকে। আশেপাশের খাবার দোকানগুলিতে চোখে পড়ে ক্রেতাদের ঢল। ফলে ভাল ব্যবসা হয় তাঁদের। যদিও এই বছর সেই চেনা ছবি উধাও!
আরও পড়ুনঃ ছেলেকে ক্যান্সার কাড়লেও থামেনি লড়াই! জলদাপাড়ার একমাত্র মহিলা বন গাইড, অনুপ্রেরণার আরেক নাম আলোমতি
advertisement
নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের শুরু থেকেই পরিযায়ী পাখির দল সাঁতরাগাছি ঝিলে এসে বসত। রঙবেরঙের দেশি-বিদেশি নানা ধরনের পাখি দেখা যেত। সাইবেরিয়া, হিমালয় সহ বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সাঁতরাগাছি ঝিলে এসে প্রতি বছর হাজির হত বহু পাখি। এখানে সাধারণত গ্যাওয়াল, পিন্টেল, জলপিপি, সরাল, কটন টিল, ফেরুজিনাস ডাক, লেজার হুইসলিং টিল, সুইনহো’স স্নাইপ, কম্ব ডাক পাখিগুলি দেখা যেত।
স্থানীয় মানুষের কথায়, দুর্গাপুজোর আগে থেকে ঝিল পরিষ্কারের কাজ শুরু হত। ঠান্ডার রেশ শুরু হলে ঝিলে ধীরে ধীরে পাখিরা এসে ভিড় জমাত। কিন্তু গত কয়েক বছর ঝিল সময়মতো পরিষ্কার না হওয়ায় সেইভাবে পরিযায়ী পাখি আসছে না। নভেম্বর পেরিয়ে ডিসেম্বর শুরু হওয়ার পর অল্প শ্রমিক লাগিয়ে সবে কাজ শুরু হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিকে ঝিল অপরিষ্কার দেখে ভোররাতে আকাশ থেকেই ফিরে যাচ্ছে বহু পাখি। স্থানীয় মানুষজন ঘর থেকে পাখিদের ডাক ও পাখনা মেলার শব্দ পেলেও সকালে অপরিষ্কার ঝিলে পাখির দেখা মিলছে না। এলাকাবাসী মনে করছেন, যত দিনে ঝিল পরিষ্কারের কাজ শেষ হবে। ততদিনে পরিযায়ী পাখি আসার সময় শেষ হয়ে যাবে। তাই এবার হয়তো আর দেখা সাঁতরাগাছি ঝিলে পরিযায়ী পাখির দলের দেখা মিলবে না।





