প্রায় সপ্তাহখানেক আগে প্রথম ধস নামে। তার ২-৩ দিনের মধ্যেই ভয়াবহ রূপ নেয় ধস। এক-এক করে প্রায় একশোর বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। মাথার ছাদ হারিয়ে সেখানকার মানুষের অবস্থা সর্বহারা। তাঁরা খুঁজছেন স্থায়ী ঠিকানা। কতদিনে ফের ঘর ফিরে পাবেন? হাতরাচ্ছেন উত্তর।
এদিকে বেলগাছিয়া ধস-এর কারণ, উৎস কোথায়, নানা বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। বেলগাছিয়া স্তুপ থেকে আবর্জনা সরিয়ে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হাওড়া পুরসভা এলাকার প্রতিদিনের আবর্জনা বেলগাছিয়ার পরিবর্তে জগাছায় নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর এখানকার মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। আদৌ সেখানে বসবাস করতে পারবেন? নাকি বসবাসের জায়গা হবে অন্যত্র? নানা প্রশ্নচিহ্ন ‘সবহারা’দের মনে।
advertisement
এই দুর্যোগের সময় হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বেলগাছিয়া ভাগাড় সংলগ্ন মানুষ খুঁজছেন স্থায়ী ঠিকানা। তড়িঘড়ি তাঁদের ত্রিপল ছাউনি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।, কিছুটা নিশ্চিন্ত করতে নিয়ে আসা হয়েছে বেশ কয়েকটি কন্টেইনার, যার মাধ্যমে নিরাপদ ভাবে রাত কাটাতে পারবে ঘরহারা মানুষ। একই সঙ্গে তাঁদের গৃহস্থালীর জিনিসপত্র নিরাপদে থাকবে।
রাকেশ মাইতি