একটু খতিয়ে দেখলে মনে প্রশ্ন জাগবেই, এই বাজারে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও এই টাইপরাইটারে এখনও লেখার চল কেন? এই প্রতিকূল অবস্থাতে টাইপরাইটারে দৈনিক কতটা কাজ মেলে একজন মুদ্রাক্ষরিকের, আর তাতে কতই বা উপার্জন হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সবজির বাজারে ‘পকেট কাটা’ যাচ্ছে মধ্যবিত্তের! কবে কমবে আগুন দাম? কী বলছেন পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা
ব্যতিক্রম নয় হাওড়া কোর্ট চত্বর। বর্তমান সময়ে কাজের দিনগুলোতে সারা দিন খট-খট শব্দে ভরে ওঠে কোর্টের ওলিগলি। এখানে জনা-কয়েক মানুষ টাইপরাইটারের কাজ করেন। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল আরও অনেক বেশি। যত দিন গড়াচ্ছে সংখ্যাটা হ্রাস পাচ্ছে। মুদ্রাক্ষরিকের সংখ্যা কম হবার মূল কারণ হল, নতুন প্রজন্ম এই পেশার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ৮-১০ বছর আগে পর্যন্ত এই কাজে আগ্রহ দেখা গিয়েছিল। তারপর আর নতুন কেউ আসেনি। এদিকে বার্ধক্যের কারণে বেশকিছু মানুষ অবসর নিয়েছেন এই কাজ থেকে। সেই জায়গা শূন্যই থেকে গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ প্রসঙ্গে হাওড়া কোর্ট চত্বরের মুদ্রাক্ষরিকরা জানান, বর্তমান সময়ে কম্পিউটারে টাইপ অনেক সহজ, সেখানে টাইপরাইটারে লেখার জন্য বিভিন্ন ভাষায় শব্দ লেখার দক্ষতা থাকতে হবে। সেই দিক থেকে কম্পিউটার টাইপ অনেক সহজ। বর্তমান সময়ে টাইপরাইটার ব্যাকডেটেড, নতুন মেশিন পাওয়া যায় না। অন্যদিকে এই যন্ত্র মেরামতির কারিগরও মেলা দুষ্কর। কিন্তু সর্বত্র কাজ হারালেও, কোর্ট চত্বরে এই কাজের চাহিদা রয়েছে। যে কাজ আধুনিক কম্পিউটারে সম্ভব নয়। মূলত ফাঁকা কলামে এবং রো-তে প্রয়োজন মতো শব্দ লেখার জন্য উপযুক্ত টাইপরাইটার। যে কারণে আদালতের কাজে লেখার জন্য আজও ভরসার এই ব্যাকডেটেড টাইপরাইটার।