স্বামী বিবেকানন্দের বাবা বিশ্বনাথ দত্ত প্রেমিক মহারাজের কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন, প্রেমিক মহারাজের অন্যতম প্রধান ভক্ত ও শিষ্য ছিলেন। আন্দুলের ভট্টাচার্য বাড়িতে প্রেমিক মহারাজের একটি দুর্গাদালান রয়েছে, যেখানে তিনি নিয়মিত কালী কীর্তনের চর্চা করতেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে শোনা যায়, স্বামী বিবেকানন্দও এসেছিলেন সেখানে। যে তক্তাপোষে বসেছিলেন স্বামীজি, তা আজও সংরক্ষিত আছে।
advertisement
স্থানীয় ইতিহাস গবেষক তথা ‘আন্দুল-মৌড়ির ইতিহাসের রূপরেখা’ বইয়ের রচয়িতা অমিত দাশগুপ্ত বলেন, ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সমসাময়িক ছিলেন প্রেমিক মহারাজ। তিনি স্বামীজির বাবা বিশ্বনাথ দত্ত ও মা ভুবনেশ্বরী দেবীর গুরুদেব ছিলেন। তিনি এও বলেন, ধ্রুপদাঙ্গের কালীকীর্তনের উল্লেখ একমাত্র প্রেমিক মহারাজের সঙ্গীতেই পাওয়া যায় এবং আজও ধারাবাহিকভাবে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে পরিবেশিত হয়ে চলেছে প্রেমিক মহারাজের কালীকীর্তন।
আন্দুলের প্রেমিক মহারাজ ছিলেন সাধক ও কবি। তিনি ঠাকুর রামকৃষ্ণের সমসাময়িক ছিলেন। বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠার পর সেখানে বিভিন্ন সময়ে আন্দুল কালীকীর্তন সমিতি তাদের বিশিষ্ট ঘরানার সঙ্গীত পরিবেশন করে আসছে। রামকৃষ্ণের জন্মোৎসবে প্রতি বছর বেলুড় মঠে কালীকীর্তন পরিবেশিত হয়ে থাকে।