#হাওড়া: ত্রিকোণ প্রেমের জেরে বন্ধুর হাতে খুন বন্ধু! নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগাছা থানার অন্তর্গত ধাড়সার সাতাশিতে।
জানা যায়, ধাড়সার বছর ২৫-এর যুবক চন্দন বেড়া গতকাল দুপুরে এক বন্ধুর ফোন পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। রাতেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজা করতে থাকেন। চন্দনকে একাধিকবার ফোন করলেও ফোন বন্ধ ছিল তাঁর। রাত ১২ টার সময় স্থানীয় কিছু যুবক চন্দনের বাড়ি থেকে একটু দূরে, একটি ঝোপের মধ্যে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় চন্দনের দেহ উদ্ধার করে। হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
advertisement
স্থানীয় কিছু বাসিন্দা জানান, সন্ধ্যায় চন্দনকে সুরজিৎ কর্মকার নামে এক বন্ধুর সঙ্গে বসে থাকতে দেকা গিয়েছিল। চন্দনের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই সুরজিৎ পলাতক। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সুরজিৎই চন্দনকে খুন করে চম্পট দেয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি চন্দনের পেটে এবং নিম্নাঙ্গে একাধিক আঘাত করা হয়, কেটে নেওয়া হয় অন্ডকোষ। চন্দন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। পুলিশের অনুমান, চন্দনকে অতিরিক্ত মদ্যপান করিয়ে, বেহুঁশ করে খুন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চন্দন ও সুরজিৎ দুজনেই খুব ভাল বন্ধু ছিল। মাঝেমাঝে একটি মেয়ের সঙ্গে দেখা যেত দুজনকেই | বন্ধুত্বের মধ্যেও দু'জনকে মাঝেমাঝে ঝগড়া করতেও দেখা যেত! তবে, কখনওই সেই ঝগড়া দীর্ঘস্থায়ী হত না। স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ! প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন। অভিযুক্ত সুরজিৎ ধরা পড়লেই পরিষ্কার হবে খুনের মোটিভ | সুরজিতের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
চন্দনের মা উর্মিলা দেবী জানান দুপুরে খেতে বসেছিল চন্দন, তখনই একটি ফোন আসে। এরপরই তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় চন্দন। অন্যদিকে চন্দনের বাবা রঘুনাথ বাবুর দাবি সুঠাম চেহারার চন্দনকে সুরজিতের পক্ষে এক খুন করা অসম্ভব। এই খুনের সঙ্গে যুক্ত আছে আরও কেউ । পুলিশও মনে করছেন, এই খুনের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িয়ে রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সুরজিৎকে গ্রেফতার করতে পারলেই ধোঁয়াশা অনেকটা কাটবে।