রাজভবন-নবান্ন রাজনৈতিক লড়াই। প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজভবন ছাড়লেও এই জট খোলেনি। ফলে গত জানুয়ারিতে রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোটের সময় হাওড়া পুরনিগমের ভোট করা সম্ভব হয়নি। অথচ ২০১৮ সালেই এই পুরনিগমের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপরই রাজ্য সরকার আইনজ্ঞদের পরমার্শ মেনে হাওড়া পুরনিগমের ভোট করতে ওয়ার্ড পুর্নবিন্যাসের পথে হাঁঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫০ ওয়ার্ডের পুরসভাকে পুর্নবিন্যাস করে ৬৬ ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হবে। অন্তত এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফের অনুব্রত কন্যা সুকন্যার নয়া সম্পত্তির খোঁজ! এ বারে তাজ্জব সিবিআই কর্তারাও
ফলে আইনমাফিক হাওড়া পুরনিগমের ভোট করতে আর কোনও আইনি জটিলতা থাকবে না। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হওয়া সংশোধনী বিল মূল্যহীন হয়ে পড়বে। নবান্ন সূত্রের খবর, পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর ইতিমধ্যেই হাওড়ার জেলাশাসককে পুরনিগমের ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের দায়িত্ব দিয়েছে। এই কাজ শেষ হলেই পুর ও নগর উন্নন দফতর হাওড়া পুরনিগমের আসন সংরক্ষণের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করবে। কমিশন এই কাজ শেষ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৪৯ দিন অপেক্ষা করতে হবে ভোট করার জন্য। সেই হিসেবে নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরে ভোট করতে কোনও সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুনঃ প্রত্যাশিত জয় বিধান উপাধ্যায়ের, আসানসোলে বামেদের দ্বিতীয় স্থান জোগাবে বাড়তি অক্সিজেন
কমিশন ইতিমধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ১৩ পুরসভার ভোট প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কালিম্পং, মিরিক নোটিফায়েড এরিয়া অথরিটি, রায়গঞ্জ, কালিম্পং, ডোমকল, পূজালি, ধূপগুড়ি, পাঁশকুড়া, হলদিয়া, বুনিয়াদপুর, কুপার্স ক্যাম্প, নলহাটি, দুর্গাপুরএ ভোট হবে। এর মধ্যে প্রথম ছ'টি পুরসভার আসন সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টম্বর বাকি সাত পুরসভার আসন সংরক্ষণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে কমিশন। এ ছাড়াও ৩৫ ওয়ার্ডের নব গঠিত বালি পুরসভার আসন সংরক্ষণের কাজ শেষ। এখন ভোট শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়