আরও পড়ুন: সস্তা শাকে মস্ত উপকার! নির্বংশ হবে জটিল রোগ, ‘এই’ শাকের পরোটার রেসিপি জেনে নিন
আম, জাম, পেয়ারা, নিম, আকাশমনি, শিশু, শাল, সেগুন, মেহগনি, চন্দন-সহ নানা গাছ। রবিবার ছুটির দিন হলেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গাছ নিয়ে হাজির হচ্ছেন হরেন বাবুরা। কখনও সাঁকরাইল, কখনও ধুলাগড়, গঙ্গাধরপুর, রানিহাটি, আবার কখনও পার্শ্ববর্তী জেলায়। সংগঠন বা সাধারণ মানুষের হাতে গাছ দিয়েই ছাড় নেই। কোথায় সেই গাছ বসাচ্ছেন, গাছ লাগিয়ে তার ছবি পাঠানো, গাছ বাঁচিয়ে রাখতে নানা পরিকল্পনা, গাছের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে তবেই মানুষের হাতে গাছ তুলে দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
পরিবেশে গাছের প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর পাশাপাশি গাছ বড় করে অর্থনৈতিক লাভবান হওয়ারও পথ দেখাচ্ছেন তাঁরা। এতে মানুষ ভীষণভাবে উৎসাহিত।
এ প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা হরেন পাত্র বলেন, ”মানুষকে গাছ বসানোর প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত লাভের মুখ দেখাতে হবে। তবেই বেশি করে মানুষ এই দিকে আগ্রহ দেখাবে। আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। সকলকেই আমরা গাছ পোঁতার আবেদন জানাচ্ছি। কাউকে জোর নয়, আবার কেউ গাছ নিয়ে বসাবে না, এমন কাউকে গাছ দিচ্ছি না। প্রায় দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত, মানুষের আগ্রহ বেশ ভালই রয়েছে গাছ বসাতে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই মরশুমে ১ লক্ষ গাছ আমরা প্রকৃত গাছ প্রেমী মানুষের হাতে তুলে দিতে পারব। মানুষের কাছে পৌঁছে, পরিবেশ রক্ষায় গাছ বসাতে এমন উদ্যোগকে সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন।
রাকেশ মাইতি