গত ২৭ অক্টোবর গলব্লাডার স্টোন অস্ত্রোপচার হয় ছাত্রীর ৷ অস্ত্রোপচারের পরের দিনই গলা দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় ছাত্রীর ৷ গত ২৯ অক্টোবর মৃত্যু হয় ছাত্রীর ৷ গলব্লাডার অপারেশনে গলা দিয়ে কেন রক্তক্ষরণ ? হাসপাতালের তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ ৷ অস্ত্রোপচারের সময় অন্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ তার জেরেই অপারেশনের পর গলায় রক্তক্ষরণ হয় বলে অভিযোগ মৃত ছাত্রীর পরিবারের ৷ হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল রিপোর্ট চায় পরিবার ৷ চাওয়া হয় অস্ত্রোপচারের ভিডিওগ্রাফিও ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুই দেয়নি বলে অভিযোগ ৷
advertisement
পরিবারের দাবি, অস্ত্রোপচারের পর থেকেই অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে ঋতজা। বারবার আবেদনেও আসেননি কোনও চিকিৎসক। ২৮ অক্টোবর সকালে দেখতে আসেন চিকিৎসক পার্থপ্রতিম সেন। যদিও তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ । সেদিন রাতেই ছাত্রীর মুখ থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে। ক্রমে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। ২৯ অক্টোবর সকালে ICU তে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। এর ৪৫ মিনিট পরেই মৃত্যু হয় ঋতজার।
হাসপাতলের দবি, ঘটনাটা দুর্ভাগ্যজনক। হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ঋতজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২৮ অক্টোবর অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার অবনতি হয়। পরিবারকে সবরকম তথ্য দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতিও দেন তাঁরা। যদিও ছাত্রীর পরিবারের দাবি, অস্ত্রোপচার হয়েছে ২৭ অক্টোবর।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার। হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য কমিশনেও।
অভিযোগের ১ মাস পর নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ ৷ আপসে মিটিয়ে নিতে ছাত্রীর বাবা-মাকে বৈঠকের প্রস্তাব দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ মৃতের নাম ঋতজা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷