বর্ষার এই সাফল্য হাওড়া সহ রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়েদের কাছে এক অনুপ্রেরণা, যার সাফল্যে আজ জ্বলজ্বল করছে গোটা দেশের নাম। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে যোগা প্রশিক্ষণ শুরু করে বর্ষা। প্রথম দিকে ট্রেডিশনাল যোগা প্রশিক্ষণ এবং তার কয়েক বছর পর আটিস্টিক যোগা প্রশিক্ষণ নেয়। বর্ষার বাবা নিতাই বেরা একজন স্বর্ণ কারিগর। ভাড়া বাড়িতে থেকে মেয়ের যোগাভ্যাস শুরু বলে জানান বর্ষার বাবা। প্রশিক্ষক এবং মেয়ের অদম্য ইচ্ছাশক্তি আজ তাকে এই জায়গায় নিয়ে গেছে বলে জানান বর্ষার বাবা নিতাই বেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: সরকারের এক পদক্ষেপ, ফিরছে ‘সেই চাঙ্গা সময়’! আয়ুর্বেদ, ন্যায়, জ্যোতিষ…নিয়ে আর ভাবতে হবে না বাংলায়
মেয়ের এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি হাওড়ার বর্ষার মা পূজা বেরা জানান, অনেক কষ্ট করে তার মেয়ে আজ এই স্তরে পৌঁছেছে। আগামী দিনে সে আরও সফলতার শীর্ষে যাক এটাই তাঁদের প্রার্থনা। বর্ষা বেরা জানান, শৈশব থেকেই জোগাড় প্রতি আলাদা ভাল লাগা ছিল। তবে এই সাফল্যের পেছনে প্রশিক্ষক এবং বাবা-মায়ের অবদান রয়েছে প্রচুর। ভবিষ্যতে আরও পুরস্কার জিতে দেশ তথা রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করতে চায় বর্ষা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রশিক্ষক সুবল দেঁড়ে জানান, বর্ষার মধ্যে রয়েছে জেদ। যার কারণেই একের পর এক সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বর্ষা। এর আগে নেপালে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফিটনেস ফেডারেশন আয়োজিত সাউথ এশিয়া প্যাসিফিক কনটেস্ট এ সমস্ত দেশকে পিছনে ফেলে স্বর্ণ পদক জয় করে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে বর্ষা। এবার থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধি হয়ে ‘চ্যাম্পিয়ানস অফ চ্যাম্পিয়ানস’ খেতাব জয়ের পর আগামী দিনে আরও আন্তর্জাতিক খেতাব জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে যায় ১৬ বছরের লড়াকু মেয়ে বর্ষা।
রাকেশ মাইতি