সরু অলিগলি থেকে সড়ক পথ সর্বত্রই জল। হাওড়া শহরে বর্ষা মানে, কোথাও হাঁটু সমান জল আবার কোথাও তার থেকেও বেশি উচ্চতায় জল জমে। এবার এই জলকষ্টে মানুষের নাওয়া খাওয়া উঠেছে শিকেয়। সমস্যা দেখা দিয়েছে পানীয় জল এবং শৌচকর্মে। শৌচালয়ের জল থই থই করছে বাধ্য এলাকা ছেড়ে অন্যত্র শৌচকর্মে যেতে হচ্ছে মানুষকে। জমা জলের দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া থেকে সমস্ত বয়সের মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: ৬০ শতাংশ নম্বর, ৯২০ পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ৬০০০ টাকা…! সুযোগ দিচ্ছে পোস্ট অফিস, হাতছাড়া করলে পস্তাতে হবে
সোমবার রাতের কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে হাওড়া শহরের ইছাপুর, দাসনগর, বেলগাছিয়া, সাঁতরাগাছি, রামরাজাতলার মত বেশ কিছু এলাকা। ২৪ ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরেও জমা জলে দুর্ভোগের শিকার স্থানীয় মানুষ। যদিও বুধবার সকালে কিছুটা জলস্তর কম হয়েছে। তবে দুর্যোগ এখনও কাটেনি ফলে চিন্তা রয়েছে। কতক্ষণে এই জল সম্পূর্ণরূপে কমবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে মানুষ। প্রতিবছরই এলাকায় জল জমার সমস্যা, সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে বলেই স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। দুর্ভোক্ত রয়েছে নানারকম সমস্যা, একাংশের মানুষ জানাচ্ছেন এই জমা জল ইলেকট্রিক শক লাগার আতঙ্ক গ্রাস করে। ইতিমধ্যেই কিছু এলাকার জমা জল কমাতে বসানো হয়েছে পাম্প।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সারাদিনে একাধিক পোশাক বদল, স্থানীয় পুরুষ মানুষদের এই বর্ষা মানেই সঙ্গী হাফপ্যান্ট। এলাকায় জল জমা কম করে, মানুষকে জল-যন্ত্রণা মুক্ত করতে হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে বর্ষার আগেই নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সেই চেষ্টা যেন বৃথা, প্রতিবছর কাজ হয় বহু টাকা ব্যয় করে। কিন্তু মানুষের দুর্ভোগ কমে না এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় মানুষের।
রাকেশ মাইতি