এর পর এ রাজ্য থেকে ও রাজ্য ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে ক্রমেই হারাতে শুরু করে স্মৃতিশক্তি ৷ ঠাঁই হয় ফুটপাথে৷ কখনও খাবার জোটে, কখনও জোটে না৷ গত প্রায় এক মাস ধরে চম্পকের ঠাঁই হয় হাওড়ার (Howrah) রামকৃষ্ণপুর গঙ্গার ঘাটে৷ অসুস্থ চম্পককে দেখে সাহায্যের হাত বাড়ান এক রিক্সা চালক৷
আরও পড়ুন: গোটা এলাকাকে চিনিয়েছিলেন রিসোলিং টায়ারের কাজ, কাশেম আলির প্রয়াণে স্তব্ধ সিউড়ি
advertisement
প্রতিদিন ফুটপাথবাসীদের খাবার দিতে আসা ব্যবসায়ী বৈজনাথ পাঠকেরও নজরে পড়েন চম্পক৷ অসুস্থ ব্যক্তি কে সুস্থ করতে পাঠকবাবু সাহায্য চান চিকিৎসক বন্ধু সৌরভ দাসের৷ চিকিৎসক ও সমাজসেবক সৌরভের সাহায্যে ১৪ বছর পর বাড়ির পথে চম্পক ওরাঁও৷
আরও পড়ুন: গলায় মাদুলি ঝোলালেই পালাবে করোনা! হলদিয়ার গ্রামে ব্যবসা চলছে ভালই
হাওড়া রামকৃষ্ণপুর গঙ্গার ঘাটে পড়ে থাকা অসুস্থ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে তারঁ চিকিৎসা শুরু করেন বৈজনাথ পাঠক ও চিকিৎসক সৌরভ দাস ৷ চিকিৎসা পেয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে চম্পক৷ নিজের নাম এবং বাড়ির ঠিকানা জানান তিনি৷ চম্পকের বাড়ির ঠিকানা জানতে পেরে মালবাজার থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাঠকবাবু | পাঠানো হয় চম্পকের ছবিও |
ছবি দেখে চম্পকের পরিবার চিনতে পারে তাঁকে৷ পরিবারের সদস্যরা প্রিয়জনকে নিয়ে যেতে হাজির হয় হাওড়াতে৷ বুধবার রাতেই ছেলের হাত ধরে বাড়ির পথে রওনা হন চম্পক ৷ পরিবারকে ফিরে পেয়ে খুশি চম্পক আর চম্পকে বাড়ি ফেরাতে পেরে খুশি সমাজের রূপকাররা৷