বিপদ মুক্ত করতে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, স্থানীয় মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখার। কিন্তু ভিটে ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে নারাজ স্থানীয় মানুষ। রোদ-ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ত্রিপলের ছাউনিতে বসবাস করছে সপরিবারে। এই বর্ষার সময়ে বেড়েছে আরও সমস্যা। বহু মানুষ ঘর হারা হয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে, ত্রিপলের নিচে রাস্তার উপর কোথাও খাটিয়া, কোথাও আবার কংক্রিটের রাস্তাতেই বিছানা বিছিয়ে রাত কাটাচ্ছে মানুষ।
advertisement
এলাকায় সমস্যার শুরু থেকেই প্রশাসন খাবার পানীয় জল ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করে। বাড়ি ভেঙে পড়ে, বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। স্থানীয় স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে একাধিক কন্টেইনার নিয়ে এসে মানুষের রাখার ব্যবস্থা করা। নিজের ভিটে ছেড়ে স্থানীয় মানুষ যেতে রাজি নন। ফলে এই দুর্যোগে ত্রিপলের ছাউনি ভরসা করেই দিন কাটাতে হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় মানুষেরও কথায় জানা যায়, এখানে প্রায় ৮০- ১০০ বছর ধরে বসবাস করছে। শৈশব থেকে বড় হয়ে ওঠা এখানে। এই স্থানে সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু স্মৃতি। অন্য কোথাও হলেও একাংশের মানুষ চাইছে স্থায়ী বাসস্থান। কি কারণে ধস, আগামী দিনে এই এলাকার নিশ্চয়তা কি, আবার কোন দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে কিনা তা জানতে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। এ প্রসঙ্গে হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী জানান, সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখতে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কাজ করছে।
রাকেশ মাইতি






