TRENDING:

Adenovirus: চেনা উপসর্গে ভর করে হানা দিচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, বলছেন বর্ধমান মেডিক্যালের বিশেষজ্ঞেরা

Last Updated:

অ্যাডিনোভাইরাসের চরিত্রেও কিছুটা বদল ঘটেছে। এর পিছনে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারই দায়ী। এখন উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকও কাজ করছে না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক একদম খাওয়া যাবে না।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণবঙ্গ: জ্বর, সর্দি, কাশি তো হতেই পারে। একটানা বেশ কয়েকদিন শুকনো কাশি থেকেও যায়। ঋতু পরিবর্তনের সময়েই এমনটা হয়েই থাকে। কিন্তু তাতেই কি ধরে নিতে হবে অ্যাডিনোভাইরাস বাসা বেঁধেছে আপনার শরীরে?
advertisement

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সময় জ্বর, সর্দি, কাশিকে আর অবহেলা করা যাবে না। বড়দের থেকে ছোটদের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে পুরোমাত্রায়।

আরও পড়ুন- সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ত্রিপুরায় ভোট গণনা, কড়া নিরাপত্তা গোটা রাজ্যজুড়েই

চিকিৎসকেরা বলছেন, চেনা উপসর্গে ভর করে হানা দিচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস। শিশুদের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। কিন্তু, সেক্ষেত্রে আক্রান্তদের কো-মরবিডিটিও থাকছে। বড়দের তেমন কাবু করতে না পারলেও, তাদের শরীর থেকেই ছোটদের শরীরে ছড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ। বলছেন চিকিৎসকেরা।

advertisement

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল তথা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কৌস্তভ নায়েক বলছেন, "ছোটদেরও শুধুমাত্র অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হতে পারে না। তবে শিশু যদি অপুষ্ট হয়, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভোগে, তখন অ্যাডিনো ভাইরাস প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।"

আরও পড়ুন- আজ নজর তিন রাজ্যের ভোটের ফলাফলে, ত্রিপুরায় গেরুয়া ঝড় না ত্রিশঙ্কু? দেখুন লাইভ আপডেট

advertisement

জ্বর, সর্দি তো অনেকেরই মাঝেমধ্যেই হয়। ঠান্ডা লাগলে নাক, চোখ দিয়ে জল পড়ে। ঠান্ডা লাগার থেকে কাশি, গলাব্যথাও হয়। কিন্তু আপনি অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত কি না বুঝবেন কী করে? চিকিৎসকেরা বলছেন,প্রথমে সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি হচ্ছে। কিছুদিন পরেই তা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণে এমনটাই হচ্ছে। গলাব্যথার সঙ্গে জয় বাংলার মতো চোখ লাল হলে বা জল পড়তে থাকলে বুঝতে হবে অ্যাডিনো সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল। জ্বর, সর্দি, কাশি, চোখ লাল হওয়ার সঙ্গে পেটের সমস্যা অ্যাডিনো ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণ। তাই এসব লক্ষণ থাকলে সাবধান হতে হবে ।

advertisement

তাঁরা বলছেন, অ্যাডিনোভাইরাসের চরিত্রেও কিছুটা বদল ঘটেছে। এর পিছনে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারই দায়ী। এখন উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকও কাজ করছে না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক একদম খাওয়া যাবে না।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দীপাবলির আগে ক্রেতাদের উদ্দেশে বার্তা বাজি ব্যবসায়ীদের! সরকারের ভূমিকা নিয়েও বিরাট মন্তব্য
আরও দেখুন

অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা জানার জন্য পরীক্ষা পদ্ধতিও রয়েছে। কোভিড পরীক্ষার ক্ষেত্রে যেমন নাক ও গলা থেকে লালারস সংগ্রহ করা অ্যাডিনো ভাইরাসের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি । লালারসের নমুনার পিসিআর বা পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন অর্থাৎ পিসিআর পদ্ধতিতে ভাইরাসের উপস্থিতি যাচাই করা হয়। কলকাতার এনআইসিইডি ও স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে অ্যাডিনোভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি এই দুই কেন্দ্রেই নমুনা পাঠাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস পরীক্ষার জন্য।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Adenovirus: চেনা উপসর্গে ভর করে হানা দিচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, বলছেন বর্ধমান মেডিক্যালের বিশেষজ্ঞেরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল